
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে মুলাদী কলেজে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ছয়জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে উপজেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষ। কলেজ এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে সংঘাতে জড়ানো নিয়ে দু’টি ছাত্রসংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা পরস্পরবিরোধী অভিযোগ করেছেন। এবং উভয় সংগঠনের কর্মীদের আহত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে মুলাদী থানা পুলিশের ওসি মো. সফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর যেন নতুন কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। শিবির এবং ছাত্রদল উভয় গ্রুপই নিজেদের ওপর হামলার মৌখিক অভিযোগ করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বরিশাল জেলা শিবিরের সভাপতি সাইয়েদ আহমেদ বলেন, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের একটি ক্যারিয়ার গাইড লাইন অনুষ্ঠান আছে। অনুষ্ঠান সফল করতে জেলা ও উপজেলার শিবিরের দায়িত্বশীলরা মুলাদী কলেজে যায়। তখন ছাত্রদলের উপজেলা ও কলেজ শাখার নেতারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১৫-২০ জনের মতো শিবির নেতাদের আহত করেন। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে মুলাদী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ঢালী বলেন, শিবির তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করলে সেটার প্রতিবাদ করেন ছাত্রদলের কলেজ শাখার সভাপতি। পরে তাকে কলেজ থেকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে শিবির আমাদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় ছাত্রদলের ৭ থেকে ৮জন নেতাকর্মী হাসপাতালে ভর্তি আছে।