জকিগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ও কৃষকদের ফসল নষ্টের ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজিবি জানায়, রোববার সকালে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর সীমান্ত এলাকায় ১৭০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পিন্নানগর ক্যাম্পের একটি টহল দল অবৈধভাবে সীমান্ত পিলার ১৩৪৫ থেকে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সুরমা নদী পার হয়ে অনুপ্রবেশ করে। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই স্থানীয় জনগণের বাধার মুখে বিএসএফ টহল দল দ্রুত ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। বিএসএফ টহল দল স্থানীয় ফসলের বেড়া এবং ফসল বিনষ্ট করে। বিজিবি টহল দল তৎক্ষণাৎ ঘটনাটি বিওপি কমান্ডার এবং অধিনায়ককে অবগত করেন। পরে বিজিবি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফ পিন্নানগর ক্যাম্প কমান্ডারকে আহবান জানায়।
সোমবার সকালে জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর সীমান্ত এলাকার ঘটনাস্থলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার। তিনি জানান, ভবিষ্যতে অবৈধভাবে প্রবেশের বিষয়ে বিএসএফ সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করা হবে এবং বিএসএফ টহল দলের বিরুদ্ধে আইন-আনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সীমান্তে চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
পরে সোমবার সকাল ১১ টা ২০ মিনিট থেকে ১২ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত উক্ত ঘটনাস্থলে বিজিবি ও বিএসফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবি বিএসএফকে ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে কৃষকের ফসলের বেড়া এবং ফসল নষ্ট করার বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। প্রতিউত্তরে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ ও কৃষকের ফসল নষ্ট করার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণের বিষয় জানানো হবে বলে তারা জানান।