
ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ::সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামে পিতৃসম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার্জশিট থেকে দুইজন আসামির নাম বাদ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাদী মো. সানুর আলী। এ ঘটনায় তিনি আদালতে নারাজি আবেদন করেছেন।
ঘটনাটি ঘটে পিতৃসম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধের জেরে। একপর্যায়ে ফুফাতো ভাইসহ চারজনের হামলায় আহত হন বাদী মো. সানুর আলী, তার ভাই চাঁদনুর আলী ও মা মোছা. শাহানারা বেগম। এ ঘটনায় আহত সানুর আলী চারজনকে আসামি করে ছাতক থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে জাহিদপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ইসলাম তদন্ত শেষে ২০২৫ সালের ৯ মে ছাতক থানায় মামলা নং ৫-১৫/১৩৭ ধারা ৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৫০৬/১১৪/৩৪ অনুযায়ী মামলা রুজু করেন।
তবে তদন্ত শেষে গত ২৬ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জাহিদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আব্দুল লতিফ চারজন আসামির মধ্যে দুইজনের নাম বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এ ঘটনায় বাদী মো. সানুর আলী অভিযোগ করেন, “জাহিদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আমার মামলার ২নং ও ৪নং আসামির নাম বাদ দিয়েছেন। এজন্য আমি গত ২৮ অক্টোবর সুনামগঞ্জ আদালতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেছি।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, ইনচার্জ আব্দুল লতিফ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এলাকায় মাদক, জুয়া ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহলের দাবি, তিনি কিছু রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তির আশ্রয়ে থেকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন।
দোলারবাজার ইউনিয়নের কয়েকজন প্রবীণ নাগরিক বলেন, “একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করবেন, কিন্তু লতিফ ইনচার্জ দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতি উল্টো দিকে গেছে। আমরা দ্রুত তার অপসারণ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই।”
অন্যদিকে, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, “তদন্তে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি, শুধুমাত্র তাদেরই চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন।”
স্থানীয় সচেতন মহল বিষয়টির সঠিক তদন্ত ও জাহিদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।