ঢাকামঙ্গলবার , ২১ অক্টোবর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জেলা থেকে মেট্রো রাতের চোরাচালান

rising sylhet
rising sylhet
অক্টোবর ২১, ২০২৫ ৯:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তের ওপার থেকে প্রায় প্রতি রাতে অবৈধভাবে নামানো হয় সবজি সহ বিভিন্ন পণ্য। গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পার হয়ে সবজি নিয়ে আসা হয় স্থানীয় রাধানগর বাজারে। সেই বাজারে সবজি কেনেন ইসলামপুরের ইসলাম ও ইমরান।

পরবর্তীতে এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিআই পিকআপের মাধ্যমে রাতে সিলেট কাছাবাজারে আনা হয়। কখনো মালভর্তি গাড়ির সামনে বা পিছনে প্রাইভেট কার বা মোটরসাইকেলে করে আসেন সিন্ডিকেটের সদস্যরা।

গোয়াইনঘাট থানা পেরিয়ে জৈন্তাপুর থানার সামনে দিয়ে মিনি ট্রাক দিয়ে আসে ভারতীয় অবৈধ বিভিন্ন পণ্য। মাঝে মধ্যে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করলেও মূল অপরাধীরা থেকে যান আড়ালে।

গত কিছু দিন আগে (২৪ সেপ্টেম্বর) মামার বাজার থেকে শীতের কম্বল নিয়ে একটি টমটম আসছিল। মোড়ে আসার পর সেই গাড়ি আটক করেন আবেদ নামের এক পুলিশ সদস্য। আবেদ নাকি ওসির বডিগার্ড হিসেবে পরিচিত। তিনি কম্বল নিয়ে আসা ব্যক্তির কাছে মালিকের নাম জিজ্ঞেস করেন। সে মালিকের নাম বলার পর ছেড়ে দেন। অন্যদিকে একজন ব্যক্তি সেই মাল আটক ও ছাড়ার ভিডিও তার মুঠোফোনে ধারণ করেন। দিন শেষে সেই খবর পৌঁছে যায় কনস্টেবলের কাছে। শুরু হয় খোঁজ—কে কারা কীভাবে! এক পর্যায়ে সেই কম্বল বিক্রেতা ইকবালের সাথে তিনি যোগাযোগ না করে তার সহকর্মী আরেকজন দিয়ে যোগাযোগ করেন।

জানা যায়, ওসির বডিগার্ড আবেদ চোরাচালানের লাইনের টাকা আদায় করেন।

জেলা শেষে এসএমপি—সিলেটের জেলা থানার সীমানা পেরিয়ে শাহপরান (র.) থানার বটেশ্বর এলাকা থেকে শুরু। বটেশ্বর স্পিরিট বেকারির সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যগণ। গাড়ি ঢোকার পর হাতে থাকা লাইট দিয়ে সিগন্যাল দেন। গাড়ি থামার পর চেক করেন। অনেক সময় টাটা ২০৭ মডেলের ট্রাকগুলো চেক না করে হাত মেলিয়ে গাড়িচালক চলে আসেন।

বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। বর্তমান সময়ে সীমান্ত দিয়ে আসছে সবজির গাড়ি। আটক ছাড়াই সেই গাড়িগুলো সিলেটের পাইকারি সবজি বাজারে আসছে।

পথিমধ্যে গাড়ি আটক হলে গাড়ির পাহারাদার বা গাড়িতে থাকা মালিকরা পুলিশের সাথে হাত ও কুশল বিনিময় করে চলে যান। লাভ হচ্ছে কার?

বিগত ১২ আগস্ট মধ্যরাতে নগরীর সোবানিঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে আটক করা হয় ‘বাধা কপির’ একটি ২০৭ মডেলের ট্রাক। গাড়ি আটক করে কাগজপত্র দেখেও দেখাতে পারেনি পণ্য আমদানির কোনো কাগজ। তখন রাত প্রায় তিনটার উপরে। গাড়িতে ছিলেন সবজির মালিক।

ট্রাক আটকের খবর শুনে ফাঁড়ির দিকে রওনা দেই। পয়েন্টে নামার পর দেখি ফাঁড়ির টু-আইসি দীপরাজ সহ ডিউটিরত কয়েকজন পুলিশ সদস্য। ট্রাকের বিষয়ে টু-আইসির সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এদিকে চলে আসেন, ট্রাকে তেমন কিছু নেই, সবজির গাড়ি, ছেড়ে দিছি।

এর কিছু সময় পর কাছাবাজার গিয়ে গাড়ির ড্রাইভার ও মালিকের কাছে পুরো ঘটনা জানতে চাইলে মালিক নিজেই স্বীকার করেন ভারত থেকে সবজি এনে সিলেটের কাছাবাজারে বিক্রির জন্য আসছি। পুলিশ সদস্যরা আমাদের গাড়ি আটক করে এবং আমাকে ফাঁড়ির ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন পুলিশ।

কোন পুলিশের নাম বলতে পারবেন?এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, উনার নাম জানি না, পোশাক পরা নাই, অইলে মাথায় চুল কম।

আপনি কত টাকা দিছেন উনাকে?এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “হাজার দশেক দিছি ভাই। মাল নিয়ে বাজার আসছি, আর বাদ দেন।” তিনি আরও বলেন, “আমার গাড়ির সামনে আরও দুটি গাড়ি ছিল। তাদের থামার জন্য সিগন্যাল দিলে ওই গাড়ি দুটো হাত তুলে কী দেখালো, এর পর চলে গেল অন্যদিকে আমার গাড়ি আটক।

এর পরে নিজ অনুসন্ধানে আরও জানলাম—প্রায় প্রতিরাতে আসা সবজির গাড়ির মালিকদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে ফাঁড়ি পুলিশের। প্রতি গাড়ি থেকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। একই চিত্র ভোরবেলা জাফলং থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসের বেলাতেও। বাস দিয়ে কম্বল ও চকলেট আসে। যারা এসব চকলেট বা কম্বল নিয়ে আসে তারা ফাঁড়িতে যোগাযোগ না করলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করা হয় মাল। সেই কম্বল বা চকলেটের বেলাতেও একই ঘটনা। বাস থামার পর নির্ধারিত ব্যক্তি বাস থেকে হাত দিয়ে ইশারা দিলেই বাসে হয় না অভিযান। নির্দ্বিধায় সেই ব্যক্তি চলে যান নিজ গন্তব্য নগরীর হকার মার্কেটে।

সম্প্রতি ৫ অক্টোবর ভোরবেলা টহলরত পুলিশ শসার একটি গাড়ি আটক করলে, পুলিশের গাড়ির চাবি নিয়ে সেই গাড়ি চলে আসে কাছাবাজারে। একই দিন রাতে কাছাবাজারের সবজি মার্কেটে আটক করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ার “বাংলা টাইম অ্যান্ড টিউন” ফেসবুক পেজের মালিক আরিয়ান আহমদ রাজনকে।

ঘটনা শুনে আমি কাছাবাজারে যাই। সেখানে বাজারের সভাপতি, শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। আটক শসার গাড়ির চালক বক্তব্য দেন—
চালকের বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলায়। তিনি স্থানীয় আহাড়কান্দি বাজার থেকে শসা নিয়ে সিলেটের কাছাবাজারে আসছিলেন।

চালক বলেন, মেঝর টিলা এলাকায় গাড়ি নিয়ে আসার সময় কয়েকজন যুবক আমার গাড়ির গতিরোধের চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে তারা গাড়ির গ্লাসে ঢিল মারে, এতে গ্লাস ভেঙে যায়। টিলাগড় আসার পর ঐ ব্যক্তি (রাজন) আমাকে গাড়ি থামাতে বলেন। তিনি বলেন, ‘গাড়িতে অবৈধ মাল আছে, গাড়ি থামান। গাড়ির সামনে-পেছনে ঘোরাঘুরি করার পর এক পর্যায়ে নওরপুল পয়েন্টে তিনি মোটরবাইক নিয়ে সামনে চলে আসেন। তখন আমি গাড়ি অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে কাছাবাজারে চলে আসি। বাজারের ভিতরে আসার পরও তিনি আবার আমার গাড়ির সামনে মোটরবাইক রেখে দাঁড়ান।

চালকের ভাষ্য অনুযায়ী, আরিয়ানের সঙ্গে আরও একজন ছিল। অন্যদিকে আরিয়ান বলেন, “আমি তাকে আটক করিনি। আমার কাছে খবর ছিল, এই গাড়িতে মাদক আসছিল।

বিগত এক মাস ধরে সিলেটের কাছাবাজারে প্রতিরাতে ১০–১৫টি টাটা ২০৭ মডেলের মিনি ট্রাক আসে শসা নিয়ে।

প্রশ্ন উঠেছে— এত শসা কি গোয়াইনঘাট এলাকায় হয়?
এমন প্রশ্নে অনেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।