ঢাকাসোমবার , ৩ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডাকাতির তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিতের চেষ্টা, সক্রিয় কুখ্যাত একটি চক্র

rising sylhet
rising sylhet
নভেম্বর ৩, ২০২৫ ৫:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

ডাকাতির তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিতের চেষ্টা, সক্রিয় কুখ্যাত
দক্ষিণ সুরমায় সংঘটিত আলোচিত ডাকাতির ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার প্রবণতায় মেতে উঠেছে একটি চক্র। প্রকৃত ডাকাতদের শনাক্তের পরিবর্তে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য দীর্ঘদিনের এক কুখ্যাত অপরাধী সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে।

গত ২৬ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে দক্ষিণ সুরমার টার্মিনাল রোডে অবস্থিত এনা পরিবহনের অফিস থেকে ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে বের হন প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মচারী। তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাওয়ার সময় ইয়াসিন প্লাজার সামনে মুখোশধারী ডাকাতদের হামলার শিকার হন। ডাকাতরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকাগুলো লুট করে নেয়। পাঁচটি মোটরসাইকেলে ১০-১২ জন ডাকাত এই ঘটনায় অংশ নেয়।

ঘটনার পর এনা পরিবহনের সিলেট পরিচালক আমিনুল ইসলাম রুকন বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পেনাল কোডের ৩৯৫/৩৯৭ ধারায় রুজু করা হয় (মামলা নং-১৮(১০)২৫)।

পুলিশ ঘটনাস্থলের তথ্যের ভিত্তিতে টাকা বহনকারী সিএনজি অটোরিকশার চালক শাহ আলমকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মেলেনি। সূত্র জানায়, পুলিশ তাকে রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছে।

আটক শাহ আলমের ঠিকানা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। বাস্তবে তিনি দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দির ১০ নম্বর রোডের বাসিন্দা হলেও, কিছু সংবাদমাধ্যমে তাকে কদমতলীর বাসিন্দা বলে প্রচার করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে পূর্বের কিছু অপরাধমূলক কার্যক্রমের তথ্য পুলিশের কাছে রয়েছে বলে জানা গেছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ কদমতলীর ফরহাদ নামের একজনের বিষয়টি জেনেছে একজন সিনিয়র কর্মকর্তার মাধ্যমে। ফরহাদ বিএনপির বহিষ্কৃত এক পদধারী নেতা। আরেকটি বিশেষ সূত্র জানায়, ২৭ অক্টোবর রাতে এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ির পেছনে সিলেটের এক চোরাচালান গডফাদারের গাড়িকে ঘুরতে দেখা যায়। ওই রাতেই ফরহাদের বাড়িতে পুলিশি অভিযানের খবরও ছড়িয়ে পড়ে। অথচ তখন পর্যন্ত মামলার কোনো আসামি ১৬১ বা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়নি।

যে ব্যক্তি ওই রাতে পুলিশ কর্মকর্তার পেছনে ঘুরছিলেন, তিনি একসময় জাদরেল ছিনতাইকারী ছিলেন। বর্তমানে তিনি চোরাচালান সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রয়েছেন। জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর চিনির ট্রাকভর্তি চালান নিয়ে ফরহাদ ও ওই ব্যক্তির মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।

ঘটনার পর ডাকাতরা মোটরসাইকেলযোগে কদমতলী পয়েন্টের দিকে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেও কোনো ডাকাতকে শনাক্ত করতে পারেনি। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কিছু প্রভাবশালী মহল পুলিশকে অন্যদিকে ব্যস্ত রেখে প্রকৃত ডাকাতদের আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

দক্ষিণ সুরমার এনা পরিবহনের অর্থলুট ডাকাতির ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্তের বদলে তদন্তকে ভিন্নখাতে নেওয়ার অপচেষ্টা চলছে। ফলে চোরাচালান ও পুরনো অপরাধীদের যোগসূত্রে এই ডাকাতির পেছনে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত মিলছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।