ঢাকাশনিবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডি’অর জিতে নেন নিজের সাবেক ক্লাব সতীর্থ লিওনেল মেসি

rising sylhet
rising sylhet
নভেম্বর ১৮, ২০২৩ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এবারের ব্যালন ডি’অর জিতে নেন নিজের সাবেক ক্লাব সতীর্থ লিওনেল মেসি।

সম্ভাব্য বিজয়ীদের তালিকায় ছিল তার নামও। এমনকি শেষ তিনেও ছিলেন তিনি।

এ নিয়ে এতদিন প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য না করলেও এবার মুখ খুলেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।

পুরস্কারটা যে মেসির হাতেই মানায় সে কথা অকপটেই স্বীকার করেছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। এমনকি আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোয় মেসিকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা হিসেবেও মেনে নিয়েছেন এমবাপ্পে।

ম্যানচেস্টার সিটিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানো নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড এবং ফ্রান্সকে বিশ্বকাপের রানার্সআপ করানো পিএসজি তারকা এমবাপ্পেও ছিলেন মেসির প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী।

গত ডিসেম্বরে মেসি-জাদুতে ভর করেই বহু বছরের আক্ষেপ ঘোচায় আর্জেন্টিনা। কাতারের মাটিতে দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোয় দুই সপ্তাহ আগে ক্যারিয়ারের অষ্টম ব্যালন ডি’অর জেতেন মেসি।

নিজের দেশ ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের থিয়েটার দ্যু শাতলেতে চোখের সামনে মেসির হাতে ব্যালন ডি’অর উঠতে দেখেও অবশ্য হতাশ নন এমবাপ্পে। তার মতে, বিশ্বকাপ জেতার কারণেই পুরস্কারের প্রধান দাবিদার ছিলেন মেসি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমবাপ্পে বলেন, “আগে যেমন বলেছি, আমি ভীতু নই। মেসিই (ব্যালন ডি’অর) প্রাপ্য ছিল। বিশ্বকাপ জেতার কারণে এটা তারই হয়ে গিয়েছিল। সে ইতিহাসের সেরা না হলেও অন্যতম সেরা তো বটেই। হালান্ড এবং আমারও মৌসুম ভালোই কেটেছে। কিন্তু বিশ্বকাপের পাশে অন্য কিছু মানায় না। ১৮ ডিসেম্বর (২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনাল) রাতেই আমি জানতাম, বিশ্বকাপের পাশাপাশি ব্যালন ডি’অরও হারিয়ে ফেলেছি। ”

গত আসরের ফাইনালে এমবাপ্পের ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মেসির আর্জেন্টিনা। তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সেরা সেই ম্যাচে কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি। এমবাপ্পে হ্যাটট্রিক করেন, মেসি করেন জোড়া গোল। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। যেখানে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেসের নায়কোচিত পারফরম্যান্সে ফরাসিদের হৃদয় ভাঙেন মেসিরা। টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নভঙ্গ হয় এমবাপ্পের।

প্রায় দুই বছর একই ক্লাবে (পিএসজি) খেলেছেন লিওলেন মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। একসঙ্গে অনেক সাফল্যও পেয়েছেন, মাঠের বাইরের সম্পর্কও ছিল বেশ ভালোই। নিজের প্রিয় খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো হলেও সতীর্থ হিসেবে মেসিকে স্বাভাবিকভাবেই মেনে নিয়েছিলেন এমবাপ্পে। মেসিও মানিয়ে নিচ্ছিলেন ভালোভাবেই। কিন্তু ২০২২ বিশ্বকাপের আগেই তাদের সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। যা প্রকাশ্যে আসে বিশ্বকাপের পর।

বিশ্বকাপ জেতার পর পিএসজিতে মেসির টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়ে। ক্লাবের সমর্থকরা যেহেতু ফরাসি, তাই মেসির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ চলে প্রকাশ্যেই। মাঠের পারফরম্যান্সেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল। শেষ পর্যন্ত ইউরোপের ফুটবল ছেড়ে আমেরিকায় পাড়ি জমান মেসি। তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক যেমনই হোক, খেলোয়াড় মেসির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ যে আগের মতোই আছে, তা প্রকাশ করতে কার্পণ্য করেননি এমবাপ্পে।

মেসি ও এমবাপ্পে দুজনেই এখন নিজ নিজ জাতীয় দলের জার্সিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই শুক্রবার ২০২৪ ইউরোর বাছাইপর্বে জিব্রাল্টারের মুখোমুখি হবেন এমবাপ্পেরা। আর ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামবেন মেসিরা।

৩১৪ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।