ডিম আমদানির খবরে কোনো প্রভাবই পড়েনি ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
ভারত থেকে আপাতত চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশের চার প্রতিষ্ঠান এক কোটি করে এ ডিম আমদানি করতে পারবে।
আমদানির খবরে কোনো প্রভাবই পড়েনি ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সরকারের নির্দেশনাকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না তারা। তাদের ভাষ্য, ‘সরকার পারলে ডিম কম দামে বিক্রি করুক। আমরা লস করতে পারবো না।
আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডিমের পাইকারি ও খুচরা বাজারে ঘুরে ‘আগের দামেই বিক্রির’ বিষয়টি দেখা গেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে মনিটরিং করছে। অভিযানও চালাচ্ছে সংস্থার সদস্যরা। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না।
বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। লাল ফার্মের ডিম হালি এখনো ৫৫-৬০ টাকা; ডজন ১৬৫-১৭০ টাকা
দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। এজন্য ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু তার আগেই বাজারের বিক্রেতারা যেভাবে সরকারকে অগ্রাহ্য করছেন, তাতে আদৌ কোনো লাভ হবে না বলে মনে করছেন সাধারণ জনগণ।