রাইজিংসিলেট- সুস্থ জীবনযাপনে আমরা খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সচেতন থাকলেও অনেক সময় ডিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করি। খামার থেকে বাজারে আসা এবং রান্নাঘরে পৌঁছানো পর্যন্ত ডিমের সঠিক পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় না থাকলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানীয় বাজার থেকে আনা ডিম সাধারণত জীবাণুমুক্ত করার কোনো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় না। এ বিষয়ে চিকিৎসক ডা. অঞ্জনা কালিয়া জানান, স্থানীয় বা খোলা বাজারের ডিমে অনেক সময় ময়লা, পালক ও মল লেগে থাকে, যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই রান্নার আগে ডিম হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতোভাবে ধুয়ে নেওয়া ভালো। এতে খোসায় থাকা জীবাণু হাত, বাসনপত্র বা অন্য খাবারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমে।
কেন ডিম ধোয়া উচিত, বাণিজ্যিকভাবে প্যাকেটজাত ডিম সাধারণত ধোয়া ও জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। কিন্তু খোলা বাজারের ডিমে এমন ব্যবস্থা না থাকায় খোসার ক্ষুদ্র ছিদ্র দিয়ে সালমোনেলা, ই. কোলাই, বা ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর জাতীয় ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে। এসব ব্যাকটেরিয়া রান্নার সময় বা সংস্পর্শে এলে খাদ্যবাহিত অসুস্থতা, যেমন—ডায়রিয়া, জ্বর ও পেট ব্যথার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
কীভাবে ঝুঁকি এড়ানো যায়, স্থানীয় বা খোলা বাজারের ডিম ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
ধোয়ার পরই রান্না করুন; ধোয়া ডিম দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করবেন না।
ডিম ধরার পর হাত ও ব্যবহৃত সরঞ্জাম ধুয়ে ফেলুন।
কাঁচা ডিম বা খোসা যেন অন্য খাবারের সংস্পর্শে না আসে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, সামান্য সচেতনতা ও সঠিক পদ্ধতি মেনে চললে ডিম খাওয়ার মাধ্যমে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কমানো সম্ভব।