সিলেট নগরীর ব্যস্ততম এলাকা মদিনা মার্কেট পয়েন্ট। অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা, রাস্তা দখল করে সিএনজি স্ট্যান্ড, ড্রেন ও ফুটপাতের উপর দোকানপাট বসার কারণে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। ফলে, ওসমানী মেডিকেল গামী রুগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও পথচারীরা পড়েন দুর্ভোগে। রাস্তা প্রশস্তের পাশাপাশি দুই পাশে রয়েছে সিটি কর্পোরেশনের ড্রেন। ড্রেনের একটা অংশে ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র এবং সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরানের তিনতলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন রাহাত কমপ্লেক্স।
মদিনা মার্কেট পয়েন্টে জনদুর্ভোগ, যানজট সৃষ্টি করার অন্যতম যে কয়টি সমস্যা তার অন্যতম একটি কামরানের তিনতলা ভবন। যানজট ও পথচারীদের দুর্ভোগ লাঘবে রাস্তার দুই পাশে সিটি কর্পোরেশনের ড্রেন থাকলেও একটা অংশে কামরানের ভবন থাকায় পথচারীরা সেই সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না।
সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাঠানটুলা ও মদিনা মার্কেট এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে ২০২২ সালে অভিযান চালায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন। বহুতল কয়েকটি ভবনের পাশাপাশি উচ্ছেদ করা হয় শতাদিক স্থাপনা। আশেপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও অদৃশ্য কারণে ড্রেনের উপর থেকে যায় কামরানের তিনতলা ভবন রাহাত কমপ্লেক্স। ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কামরান আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে উচ্ছেদ থেকে নিজের ভবন রক্ষা করেন। তা নাহলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ভূমির উপর নির্মিত ভবন উচ্ছেদ করতে পারছে না কেন সিটি কর্পোরেশন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ?
অস্থায়ী দোকানপাট ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, কাউন্সিলর কামরানের রাহাত কমপ্লেক্সের কিছু অংশ ড্রেনের উপর থাকায় পথচারীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন না। সাধারণ মানুষজনের কাজে না লাগায় তারা মদিনা মার্কেট ব্যবসায়ী কমিটির অনুমতি নিয়ে ড্রেনের উপর অস্থায়ী দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এর জন্য দোকান প্রতি ৮০ থেকে ১২০ টাকা ব্যবসায়ী কমিটিকে দিতে হয়।
মখলিছুর রহমান কামরান আত্মগোপনে থাকায় বক্তব্য সংগ্রহ করা যায় নি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বিষয়টি জানেন দাবী করে এবিষয়ে কোন বক্তব্য প্রদান করেন নি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, রাস্তা ও ড্রেনের জায়গার মালিক সড়ক ও জনপথ বিভাগ। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ব্যবস্থা নিবে। বিগত দিনে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান এর উদ্যোগে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে অনেকে মালিকানা দাবী করে মামলা করায় উচ্ছেদ অভিযান চলমান রাখা যায় নি।