রাইজিংসিলেট- আপিল বিভাগে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ধারণা প্রথম উত্থাপন করেছিল জামায়াতে ইসলামী। পরে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলও এই ব্যবস্থার দাবিতে যুক্ত হয়।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের শুনানি চলাকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এই বক্তব্য দেন।
সেদিন দুপুরে বিএনপির পক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক শুনানি শুরু হয়। টানা পঞ্চম দিনের মতো ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির আবেদনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
এর আগের দিন, অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর, চতুর্থ দিনের শুনানি শেষ হয় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনিরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। তিনি আদালতকে জানান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে। তার দাবি, শেখ হাসিনা এই ব্যবস্থা বিলুপ্তির মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আইনজীবীরা আদালতের প্রতি আহ্বান জানান, যেন জুলাই সনদের ভিত্তিতে এই বিষয়ে রায় দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা হয়। তবে ১৯৯৮ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট রিটটি খারিজ করে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে।
সম্প্রতি, ২৭ আগস্ট, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেয় আপিল বিভাগ। এর পর ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ পাঁচজন এই বিষয়ে আপিল করেন।