১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার আকস্মিক মৃত্যু এখনো রয়ে গেছে রহস্যে ঘেরা। ভক্তদের দাবি সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু একাধিক তদন্তে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলা হয়েছে।
এদিকে, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর মৃত্যুর পর রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। তবে, গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের করা রিভিশন মঞ্জুর করে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২১ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন সালমান শাহর মামা মোহাম্মদ আলমগীর। মামলায় সালমান শাহর স্ত্রী সামীরা হকসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর ইস্কাটনের সালমান শাহের ভাড়া বাসায় গিয়ে তদন্তের সময় তিনি এ কথা জানান। এরপরই এই মামলার আসামি, সামিরা, লুসি ও ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।
জনপ্রিয় এই নায়কের মামলাটি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আবারও আসামিদের সন্ধানে মাঠে নেমেছে। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক বলেন, প্রায় ২৯ বছর আগে দায়ের করা এই মামলার আসামিদের খোঁজে আমরা তৎপর। যারা দেশে আছেন, তাদের অবস্থান প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। অনেকেই দেশের বাইরে পলাতক রয়েছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মারা যান। শুরু থেকেই পরিবার দাবি করে আসছে, এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত হত্যা। তার মা নীলা চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশ হত্যার অভিযোগ নেওয়ার পরিবর্তে সেটিকে অপমৃত্যুর মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছিল। পুলিশ বলেছিল, তদন্তে হত্যার প্রমাণ মিললে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত হবে।
সালমানের মৃত্যুর পর থেকেই পরিবারের অভিযোগের তির ছিল স্ত্রী সামিরার দিকে। তবে সামিরা সবসময় সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত বছর এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, এটি আত্মহত্যা ছিল। সালমান মানসিকভাবে দুর্বল ছিলেন এবং বিয়ের আগেও তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।