
তিনটি যাত্রীবাহী বাস, জিপ, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে দুই শিশু ও নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তবে এ ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে প্রাণে বেঁচে গেছেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে দুর্ঘটনার লোমহর্ষক দৃশ্য।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস ব্রেক ফেল করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। বাসটি প্রথমে একটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। এরপর একে একে একটি জিপ ও দুটি বাসকে ধাক্বা দেয়। ইমাদ পরিবহনের ধাক্কা দেওয়া ইলিশ পরিবহনের একটি বাস আবার উঠে পড়ে একটি অটোরিকশার ওপর। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালক গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠান।
শুক্রবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে ইমাদ পরিবহনের অভিযুক্ত বাস চালকসহ হেল্পার।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় একজন অটোচালক বলেন, প্রতিদিন এখানে অনেক লোকজন থাকে। আজ ভাগ্য ভালো, বেশি ভিড় ছিল না। না হলে বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতো।
স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা সংলগ্ন এলাকায় যানবাহনের উচ্চগতি ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও এখনো দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।