
দিনাজপুরের একজন আহত জুলাই যোদ্ধার আর্তনাদ—তারা ঈদে গরুর গোশত ছিরে ছিরে খাবে, আর আমরা খাবো আলু আর ডাল?
এই বাক্যটি শুধু ক্ষোভ নয়—এটা এক ব্যথিত বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।
সম্প্রতি দিনাজপুর ওয়ারিয়র্স অব জুলাই সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৫টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (UNO) বরাবর সহায়তার আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়।
আমরা, ওয়ারিয়র্স অব জুলাই কেন্দ্রীয় কমিটি, এই আবেদনের যথাযথতা ও প্রেক্ষাপট নিয়ে অনুসন্ধান পরিচালনা করি।
এই অনুসন্ধানের ভিডিও প্রতিবেদন আমরা আজ জনসমক্ষে উন্মুক্ত করছি।
তারা আবেদনপত্রের মাধ্যমে ন্যায্য উপায়ে কিছু সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছিলেন,সেই আবেদনপএে ভাষাগত কিছু এুটি দেখা যায়।তবে তাদের উদ্দেশ্য ছিলো সৎ।
কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু কুচক্রী মহল এই আবেদনকে চাঁদাবাজি বলে অপপ্রচার করে সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
এটি শুধু আহতদের অসম্মান নয়, এটি পুরো জুলাই চেতনার প্রতি অবজ্ঞা।
যে সমাজ ৫ই আগস্টের গণহত্যাকে অস্বীকার করে,যে সমাজ শহীদের রক্ত নিয়ে তামাশা করে,যারা জুলাইয়ের চেতনার নামে আজ ভাগাভাগি, পদ-পদবি আর সুবিধার খেলা খেলছে— তাদের কাছ থেকে সহানুভূতি বা সম্মান আশা করা আমাদের এক ধরনের সরলতা ছিল।
তবে আজ আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই— যারা বলে আমরা “জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে খাচ্ছি”,তারা নিজেদের মুখের আড়ালে দেশের সঙ্গে সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা করছে।
আমরা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই— জুলাইয়ের কৃতিত্ব এবং জুলাইয়ের চেতনা নিয়ে বলার, লড়ার এবং দাবি করার অধিকার একমাত্র রয়েছে জুলাইয়ের শহীদদের পরিবার এবং আহতদের।তাদের ত্যাগ ছাড়া এই আন্দোলনের কোনো মানে ছিল না এবং কোনো ভবিষ্যৎ ছিল না।
তাই যারা বিভ্রান্তি ছড়ায়, তাদের বলি—আপনাদের নোংরা রাজনীতি নিয়ে খেলুন আর না খেলুন,আমরা আমাদের রক্তে লেখা ইতিহাস বিক্রি করব না।
ভিডিও লিংক –কে শুনে জুলাই যোদ্ধাদের আর্তনাদ- তারা ঈদে গরুর গোসত ছিরে খাবে আর আমরা খাবো আলু আর ডাল