রাইজিংসিলেট- অনেকেই আছেন, যারা দূরের বস্তু স্পষ্টভাবে দেখতে পান না—অর্থাৎ চোখে ঝাপসা লাগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে মায়োপিয়া বা নিকটদৃষ্টি বলা হয়। সাধারণত ২০ বছরের আগেই এই সমস্যা ধরা পড়ে।
পরিবারের শিশুদের মধ্যে চোখে কম দেখা বা দূরের জিনিস না চিনতে পারা অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগে থেকেই সচেতন হলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আন্তর্জাতিক মায়োপিয়া ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, আগামী কয়েক দশকে বিশ্বজুড়ে এই সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়বে—২০৫০ সালের মধ্যে এটি প্রভাব ফেলতে পারে প্রায় একশো কোটি মানুষের চোখে
কেন শিশুদের মধ্যে মায়োপিয়া বাড়ছে
ভারতের নয়ডার এএসজি আই হসপিটালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. চেতন জানান, মায়োপিয়া শুধু জিনের কারণে হয় না। বর্তমান প্রজন্মের জীবনযাত্রা ও অভ্যাসও চোখের স্বাস্থ্যে বড় ভূমিকা রাখছে।
প্রধান কারণগুলো হলো:
দীর্ঘ সময় মোবাইল, ট্যাব বা কম্পিউটার স্ক্রিনে চোখ রাখা
খুব কাছে বসে পড়া বা ডিভাইস ব্যবহার করা
বাইরের পরিবেশে সময় না কাটানো বা খেলাধুলার অভাব
ভুল ভঙ্গিতে পড়ালেখা
কম আলোয় পড়া বা কাজ করা
মায়োপিয়া প্রতিরোধে করণীয়
চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে মায়োপিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।
প্রতিদিন কিছুটা সময় বাইরে প্রকৃত আলোতে থাকা
স্ক্রিন ব্যবহারে ২০-২০-২০ নিয়ম মানা
চোখের বিশ্রামের সময় নির্ধারণ করা
পর্যাপ্ত আলোতে পড়াশোনা করা
২০-২০-২০ নিয়ম কী?
স্ক্রিনে দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকলে চোখের পেশীতে চাপ পড়ে। এই চাপ কমাতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন ২০-২০-২০ নিয়ম অনুসরণের:
প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ ফুট দূরের কোনো কিছুতে ২০ সেকেন্ড তাকান।
এতে চোখের ক্লান্তি কমে, দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া বা মাথাব্যথা প্রতিরোধ হয় এবং চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।