
বিভিন্ন দেশে সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে ঘিরে প্রচলিত রয়েছে নানা ধরনের কুসংস্কার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কুসংস্কার ও ভুল ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
দ্বিতীয় ভুল ধারণা হলো, গর্ভবতী নারীরা গ্রহণের সময় বাইরে গেলে গর্ভের শিশুর শরীরে জন্মদাগ, হৃদপিণ্ডে ছিদ্র বা বিকলাঙ্গতা হতে পারে। এ ধরনের ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
প্রচলিত কিছু ভুল ধারণার মধ্যে অন্যতম হলো, গ্রহণের সময় খাবার খাওয়া বা রান্না করা উচিত নয়। অনেক জায়গায় মানুষ মনে করে, গ্রহণের সময় খাবার গ্রহণ বা রান্না করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তবে পদার্থবিজ্ঞানীরা এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলছেন।
তৃতীয় ভুল ধারণা হলো, গ্রহণের সময় ভ্রমণ করা বা বাইরে থাকা ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সূর্য বা চাঁদের গ্রহণ চলাকালীন সময়ে আলাদা কোনো ক্ষতিকর রশ্মি নিঃসৃত হয় না, তাই এ ধরনের ভয় অমূলক।
একই সঙ্গে, বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে সূর্যগ্রহণ দেখার কুসংস্কারও রয়েছে। তবে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান উল্লেখ করেছেন, শুধু গ্রহণের দিন নয়, সব সময় সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয়।
গ্রহণের পর গোসল করার প্রচলিত ধারণা সম্পর্কেও বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। বলা হয়, গ্রহণের সময় যে ক্ষতিকর রশ্মি শরীরে লেগে যায়, সেগুলো থেকে বাঁচার জন্য গোসল করা হয়। কিন্তু এটি বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক নয়।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে বাংলাদেশ থেকেও এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। এটি মোট সাত ঘণ্টা ২৭ মিনিট স্থায়ী হবে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।