
সিলেট নগরীর স্টেশন রোডের রেলগেইট পয়েন্টে বেপরোয়া যানবাহন চালকদের অপরিণামদর্শী আচরণের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ট্রাফিক আইন অমান্য করে যানবাহন যেনতেনভাবে দাঁড় করিয়ে রাখার ফলে প্রতিদিনই সৃষ্ট হচ্ছে তীব্র যানজট। কখনো ৩-৪ ঘণ্টা, আবার কোনো কোনো দিন তারও বেশি সময় আটকে থাকতে হয় যাত্রী ও পথচারীদের। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্টেশন রোডের রেলগেইট সিলেট নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোগপথ। কাজিরবাজার ব্রিজ দিয়ে অধিকাংশ যানবাহন শহরে প্রবেশ করলেও, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গাড়ি স্টেশন রোড ও রেলস্টেশন এপ্রোচ সড়ক ব্যবহার করে। ট্রেন ক্রসিংয়ের সময় রেলগেইট বন্ধ রাখা হলে সড়কের দুই পাশে বড় ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা দুই লেন দখল করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে। ফলে পরিস্থিতি আরো জটিল রূপ নেয়।
এছাড়া কদমতলিস্থ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসগুলোও নিয়ম না মেনে নগরীর সংকীর্ণ স্টেশন রোড ব্যবহার করছে। আরটিএর নির্দেশ অনুযায়ী, এসব যানবাহনের বাইপাস সড়ক হয়ে চন্ডিপুল দিয়ে শহর ত্যাগ করার কথা থাকলেও বাস্তবে তার ব্যতিক্রমই বেশি দেখা যায়। এতে অযথা যানজট বাড়লেও পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও তেমন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম জানান, কোনো কারণে বাইপাস সড়কে সমস্যা দেখা দিলে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর সুবিধার্থে স্টেশন রোড ব্যবহার করতে হয়। তবে তিনি শ্রমিকদের অপ্রয়োজনে এ রুট ব্যবহার না করতে নির্দেশ দেবেন বলে জানান।
সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)-এর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) রাখী রাণী দাস বলেন, বিষয়টি আগে তাঁদের নজরে ছিল না। এখন বিষয়টি জানার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক সদস্যদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেবেন।