
রাইজিংসিলেট- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধনী বিদেশিদের লক্ষ্য করে নতুন ধরনের অভিবাসন ভিসা ‘গোল্ড কার্ড’ চালু করেছেন। এই ভিসার জন্য আবেদনকারীদের কমপক্ষে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। যাচাই–বাছাইয়ের পর দ্রুত ভিসা দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাম্প একে “নাগরিকত্বের সরাসরি পথ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রশাসনের ধারণা, চাহিদা বাড়লে এই ভিসার সংখ্যা এক কোটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, এই সুবিধা পাবেন কেবল তারাই, যারা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও উন্নয়নে “উল্লেখযোগ্য অবদান” রাখতে সক্ষম বলে প্রমাণ করতে পারবেন। আরও উন্নত একটি সংস্করণ ‘প্লাটিনাম কার্ড’ পাওয়া যাবে ৫০ লাখ ডলারের বিনিময়ে, যেখানে কর–সুবিধাসহ অতিরিক্ত সুবিধাও যুক্ত থাকবে।
এই উদ্যোগ ঘোষণার সময় দেশটিতে কঠোর অভিবাসন নীতি কার্যকর রয়েছে—এইচ–১বি ভিসার ফি বৃদ্ধি, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন ১৯ দেশের আবেদন স্থগিত রাখা—এসব তারই অংশ।
গোল্ড কার্ড প্রকল্পটি শুরুর পরপরই ডেমোক্র্যাটরা সমালোচনা করেন; তাদের অভিযোগ, উদ্যোগটি ধনী শ্রেণিকে অযৌক্তিক সুবিধা দেবে। শুধু আবেদন করতেই ১৫ হাজার ডলার অননুমোদিত প্রক্রিয়াকরণ ফি দিতে হবে।
ট্রাম্পের দাবি, এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো উৎপাদনশীল, দক্ষ ও উচ্চমানের পেশাদারদের আকৃষ্ট করা। তিনি এমনও বলেছেন যে সরকার চাইলে বিপুল পরিমাণ গোল্ড কার্ড ইস্যু করে বাজেট ঘাটতি কমাতে পারে।
এদিকে বৃদ্ধি পাওয়া এইচ–১বি ভিসা ফি নিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ও প্রযুক্তি খাতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, নতুন ফি শুধুমাত্র বিদেশে থাকা নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।