
রাইজিংসিলেট- নতুন প্রজন্মের খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টি সচেতনতা বাড়ছে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে খাদ্যাভ্যাসেও। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে এখন পুষ্টিকর খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। শুধু স্বাদ নয়, খাবারে পুষ্টিগুণ রয়েছে কি না—সেই বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে তারা।
দেশের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ এবং খাবারের অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতেও এর প্রভাব স্পষ্ট। এখন অনেক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে লো-ফ্যাট, সুগার-ফ্রি, গ্লুটেন-মুক্ত এবং ভেগান খাবার। স্বাস্থ্যসচেতন তরুণদের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি হচ্ছে এসব মেনু।
খাবারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন অনলাইন হেলথ ইনফ্লুয়েন্সার। পুষ্টিবিদদের মতে, তরুণদের এমন সচেতনতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
পুষ্টিবিদ নাহিদা সুলতানা বলেন, “যদি কেউ খাদ্যতালিকায় প্রতিদিনের চাহিদামাফিক প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন ও মিনারেল অন্তর্ভুক্ত করেন, তাহলে অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।”
বিশেষ করে কর্পোরেট কর্মজীবী এবং শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত জীবনের মাঝেও নিজেদের খাবারের প্রতি নজর দিচ্ছেন। কেউ কেউ ব্যাচ কুকিং করে সপ্তাহের খাবার আগেই প্রস্তুত রাখছেন, আবার কেউ নিয়মিত ডায়েট চার্ট অনুসরণ করছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পুষ্টি সচেতনতা যদি দীর্ঘস্থায়ী অভ্যাসে পরিণত হয়, তাহলে এটি জাতীয়ভাবে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।