
সিলেটের প্রতিশ্রুতিশীল নাট্য সংগঠন নাট্যমঞ্চ সিলেট গৌরবের পয়ত্রিশ বছর অতিক্রম করে ছত্রিশে যাত্রা করলো ৭ ডিসেম্বর রবিবার। এ উপলক্ষে নগরীর সারদাহল সংলগ্ন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের মহড়াকক্ষে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা “আগুনের পরশমণি”।
অনুষ্ঠানে ঐন্দ্রিলা মজুমদার অর্ণার রচনায় ও বর্না ব্যানার্জীর নির্দেশনায় নাটিকা “কাঁটাতার” মঞ্চস্থ হয়। সাথে আবৃত্তি, গান, নাচ ও একক অভিনয় পরিবেশন করেন নাট্যমঞ্চ সিলেট এর শিল্পীবৃন্দ। গান, অভিনয় ও নাচের মাধ্যমে সমসাময়িক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। এ পৃথিবী যেন শুধুই মানুষের না হয়, যেন হয় সকল প্রানীর, আমরা যেন বোবা প্রাণীদের কোন ক্ষতি না করি, সেই আবেদন করেন তারা তাদের আয়োজনের মাধ্যমে। সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজন ও নাট্য ও সংস্কৃতিকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন বাপ্পী কুমার মজুমদার, জান্নাতুল নাজনীন আশা, বর্না ব্যানার্জী, আদিব, স্বর্ণা, অমি, বিলাস, তৃষা, শুভ, শিশুশিল্পী লাবিবা ও দিয়ন্তি প্রমুখ।
১৯৯০ সালের ৭ ডিসেম্বর একঝাঁক তারুণ্য মিলিত হয়ে নাট্যমঞ্চ সিলেট নামক নাট্য সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। নিয়মিত নাট্যচর্চার পাশাপাশি নাট্যমঞ্চ গণমানুষের জন্য অসংখ্য গণনাটক সারা সিলেটে জুড়ে পরিবেশন করেন। এছাড়াও জাতীয় লোক নাট্যোৎসব, জাতীয় নাট্যোৎসব, জাতীয় পথনাট্যোৎসব, মঞ্চে তারুণ্য সম্মাননা আয়োজন করে নাট্যমঞ্চ সিলেট।
অনুষ্ঠান শেষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি মজুমদার সমবেত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে আয়োজনের সমাপ্তি টানেন।