
যেখানে পুরোপুরি সফল হয়েছে জুনিয়র টাইগাররা। নান্দনিক পারফরম্যান্সে সিরিজের ট্রফি জিতেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো কিছু করার লক্ষ্য নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিমানে উঠেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা শুরু ভালো করেছিল প্রোটিয়ারা। ৮ ওভারেই ৫৯ রান তোলে তারা। তবে দুই ওপেনারকে বিদায় করে দলকে ম্যাচে ফেরায় আল ফাহাদ। বার বার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও বাংলাদেশি বোলারদের দাপটে তা সম্ভব হয়নি।
রোববার (১০ আগস্ট) আগে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৭০ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ২৪৮ রানেই গুঁটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। এতে ৩৩ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
এতে ২৩৬ রানে অলআউট হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনার আদনান লাগাদিয়ান। এ ছাড়াও ত্রিশ উর্ধ্ব ইনিংস খেলেন তিন ব্যটার।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন রিয়াজ হোসেন। এ ছাড়াও আল ফাহাদ তিনটি এবং স্বাধীন ইসলাম দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার এবং রিফাত বেগ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি দুজনেরই কেউই। ২২ বলে ১৬ রান করে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে সাজঘরে ফেরেন রিফাত।
দলীয় ৩ রান যোগ হতেই রান আউট হন আরেক ওপেনার আবরার। ৪২ বলে ২১ রান করেন তিনি। তিনে ব্যাট করতে নেমে আলো ছড়াতে পারেননি অধিনায়ক আজিজুল হক তামিমও। ২৮ বলে ৭ রান করেন তিনি।
শেষ দিকে ব্যাট চালিয়ে রান তুলতে থাকেন আব্দুল্লাহ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সামিউন বশির। শেষ পর্যন্ত বশিরের ১৩ রান এবং আব্দুল্লাহর ২৯ বলের অপরাজিত ৩৮ রানে ভর করে ২৬৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
এরপর দলের হাল ধরেন রিজান হোসেন ও কালাম সিদ্দিকি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দুজনেই ফিফটি তুলে নেন। তবে ৭৫ বলে ৬৫ রান করে ক্যাচ আউট হন কালাম। অপর প্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি পথে ছুটতে থাকেন রিজান। কিন্তু ৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে রান আউট হন তিনি। ৯৬ বলে ৯৫ রান করেন এই বাংলাদেশি ব্যাটার।