
আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মারুফ খান শরীয়তপুর পৌরসভার দক্ষিণ মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা রাজ্জাক খানের ছেলে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার নরসিংহপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ বিষয়ে র্যাব-৮ মাদারীপুরের কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময় ক্লুলেস হত্যা মামলাসহ চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করে থাকি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ ডিসেম্বর দুই সন্তানের জননী এক বিবাহিতা নারী তার পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে মাদারীপুর ঘুরতে যান। মাদারীপুরে ঘোরাফেরা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে শরীয়তপুরের মনোহর মোড় থেকে হেঁটে বন বিভাগের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি তাদের মারধর করে বন বিভাগের ভেতরে নিয়ে যায়।
সেখানে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করা হয় এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মারুফ খানসহ অন্যরা তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে ধারণকৃত ভিডিও ডিলিট করার কথা বলে ভুক্তভোগীদের কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। একপর্যায়ে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দুজন ব্যক্তি এসে তাদের প্রধান সড়কে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এরপর ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরদিন ভুক্তভোগী নারী পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় র্যাব-৮ আসামিদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৮ (মাদারীপুর) ও র্যাব-১১ (নারায়ণগঞ্জ) যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মারুফ খানকে গ্রেপ্তার করে।