
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে হবিগঞ্জের মাধবপুরের তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নাসিরনগর উপজেলার গুতমা গ্রামের আহাদ মিয়ার বাড়ির ওই সেপটিক ট্যাংকি থেকে রবিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে নাসিরনগর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন।
ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে, আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার পৌর সদরের ৪নং ওয়ার্ডের ফজলুল হকের ছেলে আলম মিয়া (১৯), আদাঐর ইউপির মৌজপুর গ্রামের সম্রাট মিয়া (১৭) ও সম্পদপুর গ্রামের চুন্নু মিয়া (২০)। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে- সেপটিক ট্যাংকিতে কাজ করতে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই মৃত্যু নিয়ে কিছু রহস্য তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গুতমা বাজারের পাশে আহাদ আলীর স্ত্রীর নামে স্বপ্না মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৩- মাস ধরে নির্মাণকাজ চলমান। দুপুর ১২টার দিকে মার্কেটে কাজ করতে আসেন কয়েকজন শ্রমিক। নির্মাণাধীন মার্কেটের সেপটিক ট্যাংকের কাঠের মাচাল খুলতে সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে প্রবেশ করেন ৩-জন নির্মাণ শ্রমিক। পরে তাদের কোনো শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা গিয়ে দেখতে পান সবাই ভেতরে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মালেক মিয়া জানান, সকালে ৩-জন সেপটিক ট্যাংকের ভেতর নামলে সাড়া না পেয়ে গিয়ে দেখা যায়, তারা মারা গেছেন।
এদিকে মাধবপুরে নিহতদের পরিবারের দাবি, বিষয়টি খতিয়ে দেখে কারো দায়িত্ব অবহেলা, গাফিলতি বা কারো হাত রয়েছে কিনা তা উদঘাটন করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় তাদের নিজ উপজেলা মাধবপুরে মানববন্ধনের আয়োজন করবে বলেও জানান।
নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সোহাগ রানা জানান, সেপটিক ট্যাংক থেকে ৩ জন নির্মাণ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।