
ছেলের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক মা। তার নাম রহিমা বেগম (৭০)।
তাঁর স্থায়ী ঠিকানা জকিগঞ্জ থানার কসকনকপুর ইউনিয়নের আইওর গ্রামে।
তিনি সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানাধীন শাহপরান আবাসিক এলাকার ২নং রোডের, ৮নং বাসার আব্দুস সালামের মালিকানাধীন হেপি কমপ্লেক্সের ভাড়াটিয়া আব্দুল গাফ্ফারের স্ত্রী।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার এসআই সোহেল। তিনি বলেন, আমরা সুরৎহাল প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
শাহপরান থানাপুলিশ ও তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাত করে রহিমা বেগমকে তারই ছেলে বদরুল ইসলাম (৪২) হত্যা করেছে বলে তাদের ধারনা। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। রবিবার দিবাগত রাতের কোনো একসময়ে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। সোমবার সকাল ১১টার দিকে ৯৯৯- এ কল দিলে শাহপরাণ থানাপুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তারা লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুর দেড়টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বদরুল ইসলাম ইমমতি পেশায় নিযুক্ত থাকলেও গত ৪ মাস ধরে তিনি চাকরিচ্যুত অবস্থায় ছিলেন। তিনি তার বাবা মার চতুর্থ সন্তান। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, বদরুল মানসিক সমস্যাগ্রস্ত।