
পূবালী ব্যাংক পিএলসি সিলেট শাখার সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক (এজিএম) প্রদ্যোৎ কান্তি দাশ উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের এক আদেশে তাঁর এই পদোন্নতি হয়।
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন প্রদ্যোৎ কান্তি দাশ। তাঁর বাবা প্রফেসর গোবিন্দ চন্দ্র দাশ আর মা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নমিতা রাণী দাশ।
২০০৫ সালে ‘অফিসার’ পদে নিয়োগ পেয়ে পূবালী ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন প্রদ্যোৎ কান্তি দাশ। দীর্ঘ ২০ বছরের চাকুরী জীবনে তিনি ব্যাংকের সিলেট শাখাসহ বিভিন্ন শাখায় টানা ১৮ বছর ধরে ব্যবস্থাপক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ব্যাংকের ব্যবসায়িক উন্নয়নে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখায় ৬ বার পেয়েছেন ‘শ্রেষ্ঠ শাখা ব্যবস্থাপক’ এর পদকও। প্রদ্যোৎ কান্তি দাশ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর এবং সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে মার্কেটিং এ এমবিএ ডিগ্রী লাভ করেন।
প্রফেসর গোবিন্দ চন্দ্র দাশ ও নমিতা রাণী দাশ দম্পতির ৩ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় প্রদ্যোৎ কান্তি দাশ। তাঁর বড় ভাই বিদ্যুৎ দাশও বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে দায়িত্বপালন করে বর্তমানে সিকিউরিটিজ, খাদ্যপণ্য ও শিক্ষাখাতের একজন উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী। ছোট ভাই পংকজ কান্তি দাশ সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও একমাত্র বোন নন্দিতা দত্ত রায় আমেরিকা প্রবাসী। পারিবারিক জীবনে ১ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক প্রদ্যোৎ কান্তি দাশের স্ত্রী বর্তমানে গৃহিনী বীণা ঘোষ দীর্ঘ ৫ বছর, দেশের সুনামধন্য এনজিও ‘ব্র্যাক’ এর ‘সেক্টর স্পেশালিস্ট (জেন্ডার)’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মেয়ে আরিয়া রাই দাশ ও ছেলে অভিক কান্তি দাশ সিলেট খাজাঞ্চি বাড়ি স্কুলের প্রাথমিক শাখার শিক্ষার্থী।