
পেঁয়াজের সরবরাহ আরও বাড়বে বাজারে; তখন দাম আরও কমবে।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালী কাঁচা বাজার ঘুরে পেঁয়াজের দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।অসৎ মজুতদারদের কারসাজিতে রাতারাতি অযৌক্তিক মূল্য বাড়ার পর রাজধানীর বাজারে এবার কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম কম হওয়ায় বাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে নতুন পেঁয়াজ। সে সঙ্গে পেঁয়াজ পাতারও চাহিদা বেড়েছে। বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি, দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ২০০ টাকা আর তুরস্ক থেকে আমদানি করা বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়।
অন্যদিকে, বেশি দামে কিনে রাখায় বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ। এমনকি পচতেও শুরু করেছে অনেকের পেঁয়াজ। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রেতা দোকানিরা পেঁয়াজের পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও সেগুলোতে ক্রেতা নেই বললেই চলে। ফলে, অনেকের পেঁয়াজই পচতে শুরু করেছে, যেগুলো আলাদা করে আরও কম দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর থেকে। তবে, এবার দাম বাড়ার পর দেখা গছে ভিন্ন চিত্র। এবার বাড়তি দামের বিরুদ্ধে এক হয়েছেন ভোক্তারা। সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে পেঁয়াজ কেনা থেকে বিরত থাকতে প্রচারণা চালানো হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এছাড়া বাজারে আসতে শুরু করেছে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ। সব মিলিয়ে ঝাঁজ কমছে পেঁয়াজের।
মহাখালী কাঁচা বাজার এলাকার পেঁয়াজ বিক্রেতা জানান, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পরপরই বেশি দামে বিক্রির আশায় ভারতীয় পেঁয়াজ কিনে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় ভোক্তাদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া এবং নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় মাথায় হাত তার। বাধ্য হয়েই লোকসানে ছাড়তে হচ্ছে তার পেঁয়াজ।
নতুন পেঁয়াজ একটু বড় সাইজের ১০০ টাকা, আর ছোট সাইজের ৯০ টাকা কেজি করে বিক্রি করছি। মানুষ এখন নতুন পেঁয়াজটাই বেশি নিচ্ছে।
দাম আরও কমবে উল্লেখ করে এ ব্যবসায়ী বলেন, চলতি সপ্তাহে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ আরও বাড়বে বাজারে; তখন দাম আরও কমবে।