
রাইজিংসিলেট- পেট ফাঁপা বা হজমের গোলমাল এমন একটি সমস্যা, যা প্রায় সবাই কোনো না কোনো সময় অনুভব করে থাকেন। বিশেষ করে ভারী খাবার, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়া কিংবা গভীর রাতে খাবার গ্রহণ—এসব কারণেই এ সমস্যাগুলো বেশি দেখা দেয়। তবে রান্নাঘরের কিছু সাধারণ উপকরণ দিয়েই এই অস্বস্তি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
নিচে পেট ফাঁপা কমানো ও হজমশক্তি উন্নত করার কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় তুলে ধরা হলো
১. মৌরি
খাবার শেষে এক চিমটি মৌরি চিবিয়ে খেলে পেটের অস্বস্তি, গ্যাস ও ফাঁপা ভাব কমতে সাহায্য করে। মৌরির মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক তেল পরিপাকতন্ত্রের পেশি শিথিল করে এবং গ্যাস বের হতে সহায়তা করে।
• চাইলে মৌরি পানি দিয়ে সেদ্ধ করে চায়ের মতো খেতেও পারেন।
• উষ্ণ মৌরি চা হজম স্বাভাবিক করতে বেশ উপকারী।
গবেষণায় দেখা গেছে, মৌরির এস্ট্রাগোল, ফেনকোন ও অ্যানিথোল উপাদান পেটের খিঁচুনি, প্রদাহ ও বদহজম কমাতে সহায়তা করে।
২. কালোজিরা
বাংলার রান্নাঘরে বহুল ব্যবহৃত এই উপাদানটি হজম প্রক্রিয়া উদ্দীপিত করতে ও গ্যাস প্রতিরোধে পরিচিত। কালোজিরার উদ্বায়ী তেল পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
• এক চা চামচ কালোজিরা পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে সেই পানি সকালে খালি পেটে পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
• এটি পিত্তরস নিঃসরণ বাড়িয়ে খাবার দ্রুত ভাঙতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রে প্রদাহ কমায়।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কালোজিরার পানি পান করলে চার সপ্তাহের মধ্যেই পেট ফাঁপা, বমি ভাব ও গ্যাস্ট্রাইটিসের উপসর্গ হ্রাস পায়।
৩. বাটারমিল্ক (ঘোল)
বাটারমিল্ক বা ঘোল প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, যা হজমের জটিলতা কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। এটি পাকস্থলীর জ্বালা কমিয়ে অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক রাখে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সহায়তা করে।
• এতে এক চিমটি ভাজা জিরা গুঁড়া ও সামান্য লবণ মিশালে আরও আরামদায়ক হয়।
• ভারী খাবারের পর ঘোল হজমে আরাম দেয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ঘোল অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং আইবিএস রোগীদের পেট ব্যথা, মলত্যাগের অনিয়ম ও পেট ফাঁপা কমাতেও ভূমিকা রাখে।