আসামী পক্ষের আইনজীবির আবেদনের প্রেক্ষিতে জি কে গউছকে কারাগারে ডিভিশন-১ (প্রথম শ্রেণীর বন্দির মর্যাদা) দেয়ার আদেশ দেন আদলত। মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক এই আদেশ দেন।
এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আলহাজ্ব জি কে গউছকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার মানুষ আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থি হয় জি কে গউছকে এক নজর দেখার জন্য।
জি কে গউছের আইনজীবি আফজাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- ২০১৫ সালে ১৮ জুলাই পবিত্র ঈদের দিন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় হবিগঞ্জ কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতা আলহাজ্ব জি কে গউছকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে একাধিক খুনের মামলার আসামী ইলিয়াছ মিয়া ওরফে ছোটন।
এ ঘটনায় হবিগঞ্জ কারাগারের জেলার মো. শামীম ইকবাল বাদী হয়ে হামলাকারী ইলিয়াছকে একমাত্র আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই সাহিদ মিয়া। আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত ২০ জুলাই হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল আলীম রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ইলিয়াছকে দেড় বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। ইলিয়াছ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দাউদনগর গ্রামের সালেহ আহাম্মদ কনার পুত্র।
এর আগে গত ২৯ আগষ্ট রাত ৭টার দিকে ঢাকা থেকে ডিবি পুলিশ জি কে গউছকে আটক করে। ৩০ আগষ্ট ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ঢাকা সিএমএম কোর্টে হাজির করা হয়। একই সাথে ২০১৫ সালের ১৮ জুলাই পবিত্র ঈদের দিন হবিগঞ্জ কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় জি কে গউছকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবির কোতয়ালী জোনাল টিমের উপ পরিদর্শক আফতাবুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে একই ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই সানা উল্লা বাদী হয়ে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলাটি দীর্ঘ ৮ বছর যাবত তদন্তাধীন রয়েছে। দীর্ঘ দিন পর এই মামলায় জি কে গউছকে গ্রেফতার দেখাতে আদালতে আবেদন করেন মামলার আইও (সদর থানার ওসি তদন্ত) বদিউজ্জামান। এই আবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) শোনানী শেষে আদালত জি কে গউছকে এই মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখাতে আদেশ দেন। একই সাথে তাকে ডিভিশন-১ (প্রথম শ্রেণীর বন্দির মর্যাদা) দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেন।
রিমান্ড শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর একই আদালতে হাজির করে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। কিন্ত‘ আদালত রিমান্ড না মঞ্জুর করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।