ঢাকাসোমবার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রবাসী স্বামীকে কলে রেখেই আ ত্ম হ ত্যা

rising sylhet
rising sylhet
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫ ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী স্বামী নোয়াখালীর সদর উপজেলায় দুই রুমের ভাড়া বাসায় চারটি সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখতেন ।

মৃত ফরিদা ইয়াছমিন সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার মেয়ে ও সোনাইমুড়ীর ভানুয়াই গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী নুর নবীর স্ত্রী।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে বাসা থেকে বের হতে চাইলে নুর নবী তা অনুমতি দেননি। এরপর স্বামীকে ভিডিও কলে রেখেই ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন ফরিদা ইয়াছমিন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রবাসী নুর নবী দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে নানা বিষয়ে কথা বলতেন। গত সাত মাস ধরে ফরিদা ভাড়া থাকছিলেন শফিক হুজুরের বাড়িতে। দুই রুমের ওই ভাড়া বাসায় চারটি সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখতেন স্বামী। গত শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের একপর্যায়ে বাসা থেকে বের হতে চাইলে নুর নবী তা অনুমতি দেননি। এরপর স্বামীকে ভিডিও কলে রেখেই বোরকা পরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

ফরিদার বাড়ির মালিক শফিক উল্যাহ বলেন, ফরিদা ছিলেন পর্দানশীন নারী। সাত মাসে আমি তার মুখও দেখিনি। শুধু ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সময় পর্দার আড়াল থেকে কথা হতো। প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করতেন স্বামী। এমনকি বেডরুমেও সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছিল তার স্বামী নুর নবী। সকালে দরজা বন্ধ দেখে পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সিসি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক কলহজনিত আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিহতের ভাই মাসুদ ও রাশেদ রানা অভিযোগ করে বলেন, আমার বোন ফরিদাকে তার স্বামী নুর নবী নজরবন্দি করে রেখেছিলেন। আমাদের কারো সাথে কথা বা যোগাযোগ রাখতে দিতেন না। যোগাযোগ করলে মিথ্যা অপবাদ দিতেন। স্বামীর চাপেই সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। সিসি ক্যামেরা ও ভিডিও কলে ঘটনাটি দেখেও স্বামী কাউকে জানায়নি। অথচ বাড়িওয়ালা ও পাশের ভাড়াটিয়ার নম্বর তার কাছে রয়েছে। আসলে নুর নবী চেয়েছিল আমার বোন ফরিদা মারা যাক। আমরা ন্যায় বিচার চাই।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।