ঢাকাশনিবার , ৯ মার্চ ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ফাইনাল ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছে ২৮ রানে

rising sylhet
rising sylhet
মার্চ ৯, ২০২৪ ৮:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার অলিখিত ফাইনাল ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছে ২৮ রানে। এক নুয়ান থুশারা কাছে ধরাশায়ী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদ ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। শ্রীলঙ্কান পেসার নুয়ান থুশারা একই নিয়েছেন ৫ উইকেট।

বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৪৬ রানে। ফলে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ২৮ রানে হেরে সিরিজ হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। সাথে গড়া হলো না ইতিহাস।

৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ অপেক্ষায় ছিল বড় হারের জন্য। সেখান থেকেই যেন ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রাম করলেন রিশাদ। প্রথমে শেখ মেহেদি হাসানকে নিয়ে শুরু করলেন টিকে থাকার লড়াই। এরপর তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আরেকটা বড় জুটি।

বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন এই লেগস্পিনার। তবে দলকে জেতানোর মত পর্যাপ্ত সময় হাতে ছিল না রিশাদের। বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন। তাতে নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের হারও। তাসকিন নিজেও চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ব্যাটাররা যেদিন ব্যর্থ, সেদিন শেষের ঝড়টাও টাইগারদের দিতে পারেনি জয়ের সুবাস।

নুয়ান তুশারার হ্যাটট্রিক আর ৫ উইকেট শিকারের দিনে বাংলাদেশ আরও একবার স্বাদ পেল সিরিজ হারের। লঙ্কানদের বিপক্ষে আগে কখনোই সিরিজ জেতা হয়নি টাইগারদের। সিলেটে প্রথম ম্যাচে ৩ রানের হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়। তৃতীয় ম্যাচে তাই প্রত্যাশার পারদ কিছুটা উঁচুতেই ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু তুশারার কল্যাণেই জয় আসেনি বাংলাদেশের ভাগ্যে। ২৮ রানের জয় নিয়ে সিরিজ নিজেদের করল সফরকারী শ্রীলঙ্কা।

হ্যাটট্রিক করার পথে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে তুশারা ফিরিয়েছেন দুর্দান্ত এক ইনসুইং ডেলিভারিতে। বেসামাল শান্ত অফ স্ট্যাম্প খুইয়েছেন তার ইনসুইংয়ে। এরপর হৃদয় এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আউট হয়ে গেলেন। এবার দ্রুতগতির আউটসুইংয়ের পাশাপাশি ইয়র্কার দিয়েছেন তুশারা। বোল্ড হয়ে ফেরেন হৃদয়। মাহমুদউল্লাহ এসেও ভরসা হতে পারেননি। তুশারার আরেকটি আউটসুইং ডেলিভারিতে সাজঘরে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। তবে ভাগ্যকে কিছুটা দুষতে পারেন তিনি। এলবিডব্লিউতে আউট হলেও ইম্প্যাক্ট ও উইকেট হিটিং দুটোতেই ছিল ‘আম্পায়ার্স কল’। অর্থাৎ আম্পায়ার যদি আউট না দিতেন তাহলে এলবি হতেন না মাহমুদউল্লাহ। সেক্ষেত্রে হ্যাটট্রিকও হতো না তুশারার।

এক ওভার পর আবার আঘাত হেনেছেন তুশারা। এবার তার শিকার হয়েছেন সৌম্য সরকার। আগের তিন উইকেটের মতো এবারেও সুইং আর গতিতেই পরাস্ত করেছেন টাইগার ওপেনারকে। দুই ওভারে দুই রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট।

১৫৩ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।