
হকার মুক্ত হয়নি সিলেটের ফুটপাত বা রাজপথ। হলেও সেটা সাময়িক। একটু বিরতির পর আবার পুরানো রূপে ফিরে যায় সিলেট মহানগরী।
বর্তমানে সিলেটের ঐতিহ্যের প্রতিক কিনব্রিজসহ নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, রিকাবিবাজার, লামাবাজার, সুবহানীঘাট, তালতলা, সুরমা পয়েন্ট ও আশাপাশ এলাকাসহ নগরীর প্রায় সব রাজপথ ও ফুটপাত হকারদের দখলে।
ফুটপাত দখল করে হরেক রকম পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসা। সে পেঁয়াজ- মরিচ বা আলু থেকে শুরু করে কাপড়-চোপড় পর্যন্ত। ভ্যান- ঠেলাগাড়ি দিয়ে যেমন রাজপথ দখল করা হয়, তেমনি ফুটপাতে স্থায়ী আস্তানা গেড়ে বসেন কাপড়চোপড়ের ব্যবসায়ীরা।
এতে পথচারীরা চরম বিপাকে। অহরহো ঘটছে দুর্ঘটনা। আর সৌন্দর্যহানীর বিষয়টিতো আছেই।
এ অবস্থায় হকার উচ্ছেদের দাবি উঠছিল গত কয়েকদিন ধরে। এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসন ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনও একমত।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) যৌথ অভিযান চালিয়ে নগরীর কিনব্রিজকে হকার মুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি কিনব্রিজের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে শুরু করে বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট এবং জিন্দাবাজার এলাকায়ও অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযানে হকারদের কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য নির্ধারিত লালদিঘীরপার হকার্স মার্কেটে যেতে হবে সব হকারকে। এক্ষেত্রে কোনো আপোষ করা হবেনা।
বিষয়টি নিয়ে আলাপকালে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. পারভেজ জানান, শনিবার দুপুরের পর জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম কিনব্রিজ, কোর্ট পয়েন্ট, দক্ষিণ সুরমার কয়েকটি এলাকা, জালালাবাদ পার্ক, কোর্ট পয়েন্ট, বন্দরবাজার এলাকার পরিদর্শন করেছেন।
তিনি হকারদের ব্রিজ বা রাজপথ দখলের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাদের সবাইকে যেতে হবে লালদিঘীরপার হকার্স মার্কেটে। কাউকে ফুটপাত বা রাজপথে ব্যবসা করতে দেওয়া হবেনা।
তিনি আরও যোগ করেন, ফুটপাতে বসলেও যেনো পথচারীদের কোনো সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লালদিঘীরপার হকার্স মার্কেটের বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। এরপর সবাইকে সেখানে যেতে হবে। আর মানবিক কারণে এই কয়েকটা দিন তারা ফুটপাতে বসতে পারবেন, তবে কোনো অবস্থাতেই রাজপথে নামতে পারবেন না।