
বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ মন্তব্য করে বলেন,ফেব্রুয়ারির পরে দেশে জান্নাতি পরিবেশ বিরাজ করবে ভাবাটা বোকামি।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বরিশাল প্রেসক্লাবের হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তরুণরা এখন অনেক বেশি কনশাস। তারা প্রচণ্ডভাবে রাস্তায় নামার জন্য প্রস্তুত। তাদের আবেগ-আকাঙ্ক্ষাকে যদি অপমান করেন, পাকিস্তানি বা মৌলবাদী ট্যাগ দেন তাহলে সেই রাজনীতি পরাজিত হবে। তরুণদের অসম্মান করলে কালেকটিভলি আমরা সবাই হেরে যাবো।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, দেশ কিন্তু শান্ত হয়নি। আমরা এখনও ভলকানোর ওপর বসবাস করছি। কেউ যদি মনে করেন ফেব্রুয়ারির পরে দেশ সুইজারল্যান্ডে পরিণত হবে, জান্নাতি পরিবেশ বিরাজ করবে তাহলে তিনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। যেকোনো সময় এই দেশে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, জর্জিয়ার মতো পরিস্থিতি ফিরে আসতে পারে।
আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে গণঅভ্যুত্থান বুঝতে পারেনি, সেভাবেই বিএনপিসহ অনেক বাম ও বুদ্ধিজীবীও ডাকসুকে বুঝতে পারছে না। আমরা যেন কেউই ৯১, ৯৬, ২০০১ সালের ম্যাট্রিক্স দিয়ে এখনকার সময়কে না মাপি। যদি করি সবাই ভুল করব। কারণ, এটা একেবারে নতুন রাজনৈতিক ম্যাট্রিক্স আগামী দিনের রাজনীতির জন্য।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যদি জনআকাঙ্ক্ষাকে ও সময়কে রিড করতে না পারি, ৯১ অথবা ২০০১ সালের মানদণ্ড দিয়ে যদি ২০২৫ সালকে পড়তে চাই, সেটা হবে আমাদের জন্য ভুল। ডাকসুর নির্বাচন আমাদের সামনে আগামী দিনের রাজনীতির একটি নতুন নির্বাচনী গ্রামার হিসেবে উপস্থাপন করেছে।
ফুয়াদ বলেন, দুই নাম্বারি চক্করের রাজনীতি এখন আর চলবে না। এখন যদি আপনার মধ্যে ন্যূনতম স্বচ্ছতা, ভদ্রতা, সততা না থাকে তাহলে আপনি ঠিকাদারির রাজনীতি দিয়ে চলতে পারবেন না। ঠিকাদারির পলিটিক্স ইজ ডেথ। ৭১ ব্যবসা, ২৪ ব্যবসা, চেতনা ব্যবসা, কেনাবেচার রাজনীতি দিয়ে কেউ আর চলতে পারবে না।
ট্যাগিং প্রবণতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘তুমি জানো আমিও জানি, সাদিক কায়েম পাকিস্তানি’ এই স্লোগান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যারা ২০২৪-এর আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন, তারা সবাই সাদিক কায়েমকে চেনেন। তারা একসাথে আন্দোলন করেছেন। হঠাৎ করে তাকে পাকিস্তানি বলা শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।
তিনি বলেন, পলিটিক্সে স্বচ্ছ হতে হবে। যিনি ভদ্র, বিনয়ী, যার কথা ও কাজে মিল রয়েছে, দেশের জন্য যিনি উপকারী তাকেই মানুষ ভোট দেবে। তরুণরা আর শুধু মার্কা দেখে বা দল দেখে ভোট দেবে না।