
বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেবে ইউরোপের চার দেশ।
আগামী জুন মাসের মধ্যে ইউরোপে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
ইউরোপে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
গত ৩ এপ্রিল পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ইউরোপে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা নিয়ে আলোচনা হয়।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ট্যালেন্ট পার্টনারশিপ স্কিমের অধীনে ইতোমধ্যে জার্মানি, ইতালি, গ্রিস ও রোমানিয়া বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি খাতে দক্ষ শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ইউরোপে বিভিন্ন খাতে জনবল সংকট রয়েছে। তাদের দক্ষ জনবল দরকার। কিন্তু আমাদের দক্ষ লোকের অভাব আছে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আগামীতে বিশ্বে যে শ্রমিক চাহিদা তৈরি হচ্ছে সেটি দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে হবে। এখানে আধা বা অদক্ষ শ্রমিকদের স্থান নেই। ইউরোপে দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। এটি একটি পাইলট প্রকল্প। আমরা মনে করছি, এটি বাস্তবায়নের পর ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে লোক নিতে আগ্রহী হবে। এটি বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিকভাবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ৩০ লাখ ইউরো সহায়তা দেবে।
নার্সিং ও শিপবিল্ডিং সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি ইউরোপে রপ্তানির বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমাদের এখানে এরইমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কারিকুলাম নার্সিং কোর্সে চালু করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদি নতুন কারিকুলামে প্রতি বছর ৩৫ হাজার দক্ষ নার্স বের হয়, তখন আমরা তাদের বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে পারব। একইভাবে ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে শিপ বিল্ডিং খাতে প্রচুর ওয়েল্ডারের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেটি মেটাতে পারছে না।
বাংলাদেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকলেও কোনো সার্টিফিকেট নেই। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান মাসুদ বিন মোমেন। হাঙ্গেরি বাংলাদেশের মেগা প্রজেক্ট কাজ করাদের নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে সরকার কিছু ভাবছে কি না? জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমাদের নিজেদের মেগা প্রজেক্ট কাজ করার মতো লোকের দরকার আছে।