রাইজিংসিলেট- অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তো বহু আগেই বলে রেখেছিলেন ২০২৩ সাল বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা বছর হবে। তারপর বিশ্বকাপের আগে সেমিফাইনালের স্বপ্নের কথাও শোনানো হয়েছে।
কিন্তু সেমিফাইনাল তো দূরে থাক, বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সের ধারেকাছেও যেতে পারেনি বাংলাদেশ। ২০০৩ বিশ্বকাপের পর থেকে আর কিছু পারুক না পারুক, অন্তত তিনটা জয় নিয়ে ফেরা দলটি এবার সাকল্যে জিতেছে দুটি ম্যাচ।
সমর্থকেরা হতাশ হয়েছেন। ক্রিকেটাররাও বলছেন তাঁরা হতাশ। তবে বোর্ড কিন্তু খুশি হওয়ার উপলক্ষ্য পাচ্ছে। আবারও কোচিং প্যানেলে রদবদলের সময় এসেছে, আর এমন সময় বিশ্বকাপ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা নিয়ে ফিরছে বাংলাদেশ।
গ্রুপ পর্বে বাদ পড়লেও ‘অংশগ্রহণই বড় কথা’ মন্ত্রে ৬টি দলকেই এক লাখ ডলার করে দিচ্ছে আইসিসি। সে সঙ্গে প্রতিটি জয়ের জন্য আরও ৪০ হাজার ডলার। দুই জয় মিলিয়ে বাংলাদেশের তাই আয় ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আজকের হিসেব অনুযায়ী, টাকায় তা ১ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর খোলাবাজারের হিসেবে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
হতাশার দিক থেকে বাংলাদেশের মতোই এক বিশ্বকাপ কাটিয়েছে পাকিস্তান। এশিয়া কাপের আগেও র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা এক দল বিশ্বকাপে মাত্র চারটি ম্যাচ জিতেছে। আরও একবার বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হেরেছে তারা। ২০১১ বিশ্বকাপের পর থেকেই সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ দলটি।
এমন হতাশার মাঝেও অন্তত কিছুটা সান্ত্বনা পাচ্ছেন বাবর আজমেরা। বিশ্বকাপে চার জয়ের সুবাদে বিশ্বকাপ থেকে বোর্ড প্রাইজমানি হিসেবে ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার পাচ্ছে। প্রায় ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। বিশ্বকাপের আগে বেতন-ভাতা নিয়ে আলোচনায় প্রাইজমানির অংশও নাকি দাবি করেছিলেন বাবর আজমেরা। সেক্ষেত্রে তাঁরাও পাচ্ছেন এর কিছু অংশ।
এদিকে ভারত এরই মধ্যে ১১ লাখ ৬০ হাজার ডলার নিশ্চিত করে ফেলেছে। ৯ জয়ে ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার জিতেছে। এখন সেমিফাইনালে যদি হেরেও যায় আরও ৮ লাখ ডলার পাবে। আর জিতে ফাইনালে গেলে অংকটা আরও বাড়বে। কারণ, চ্যাম্পিয়নরা পাবে ৪০ লাখ ডলার। রানার্সআপ দল পাবে ২০ লাখ ডলার।