
বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দলটির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষে মঞ্চসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম. ইকবাল হোসেন দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ মনোনয়নবঞ্চিত আহমেদ তায়েবুর রহমান হিরনের সমর্থকরা রোববার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ইকবাল হোসেনের সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে বিক্ষুব্ধ ইকবালের সমর্থকরা পাল্টা হামলা চালিয়ে হিরনের মহিলা সমাবেশের মঞ্চে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এরপর দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এদিকে, শনিবার রাতে জেলা উত্তর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন পাপ্পুর কার্যালয়ে হামলা ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ৪০ রামদাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তবে হিরনের সমর্থকরা অভিযোগ করেন, ইকবাল সমর্থকরা আমাদের মহিলা সমাবেশের মঞ্চে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে আমাদের অনেক কর্মী আহত হয়েছেন।
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এম. ইকবাল হোসেন বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একটি পক্ষ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে। আমি এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার বলেন, এখনও থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
গৌরীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত রয়েছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যৌথ বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে।