ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিএনপি নেতা ইমরান গাজীর নেতৃত্বে চেঙ্গের খাল নদীর বালু লুটপাট!

rising sylhet
rising sylhet
ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪ ৬:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃ জামাল উদ্দিনঃ- সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানাধীন চেঙ্গের খাল নদীর দুমখাল নামক স্থান থেকে বালু লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায় কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার চামাউড়া কান্দি গ্রামের আব্দুর রুফ এর ছেলে সিলেট জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য ইমরান গাজীর নেতৃত্বেই এই বালু লুটপাট চলছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, থানা পুলিশ মেনেজ করেই প্রতিদিন রাতের আধারে বালু লুটপাটের মহাযজ্ঞ চলছে। যার কারণে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না পুলিশ ও প্রসাশন। ফলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের বিরাজও করছে।

স্থানীয় সুত্র থেকে জানা যায়, অবৈধভাবে বালু লুটপাটের সাথে জড়িত কালারুকা গ্রামের ইমাম উদ্দিনের ছেলে শাহাবুদ্দিন, একই গ্রামের সাবেক কমর আলির মেম্বারের ছেলে রুবেল ও জমির আহমদ। এবং মোগলগাঁও গ্রামের মর্তুজ আলির ছেলে গোলাপ, একই গ্রামের আব্দুর নুর এর ছেলে সালাম, আবুল কাশেম (আবুল) এর ছেলে নুর উদ্দিন (নুর) আলীনগর গ্রামের সোনামালার ছেলে কবির একই গ্রামের সাদুর রহমানের ছেলে আলী হোসেন তারা সবাই সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ইমরান গাজীর নেতৃত্বেই অবৈধভাবে বালু লুটপাট করছেন বলে জানান।

 

তারা আরও জানান, রাতের আঁধারে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ হাজার ফুট মালবাহী ২০ থেকে ২৫ টি নৌকা বালু উত্তোলন করা হয়। পরে সেই বালু ৩ থেকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয় বাদাঘাট বালু বিক্রির সাইটে। যার সিংহভাগ নিয়ে নেন ইমরান গাজী।

 

 

এই সিন্ডিকেটের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালু লুটপাট করার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিবেদককে জানান, ইমরান গাজী উল্লেখিত সবাইকে টাকা দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করান এবং নিজেই এই বালু বাদাঘাট বালুর সাইটে এনে বিক্রি করেন।

 

এপ্রসঙ্গে, ইমরান গাজীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য সংগ্রহ করা যায় নি।

এপ্রসঙ্গে, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন লুটপাট এবং তার সাথে বিএনপির কেউ জড়িতের বিষয়টি জানেন না, পরবর্তীতে জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 

 

এপ্রসঙ্গে, জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন লুটপাটের সাথে থানা পুলিশ কোনভাবেই জড়িত নয়। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এপ্রসঙ্গে, সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ এর ব্যবহৃত সরকারি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য সংগ্রহ করা যায় নি।

৬১৯ বার পড়া হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।