বিবিসি বাংলার একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে মতামত প্রকাশ করেছেন।
সোমবার (৩ মার্চ) সেই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। এ সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থান জানতে চাওয়া হয়।
সম্প্রতি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তার বক্তব্যে দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন ‘নিজেদের মধ্যে হানাহানি বন্ধ না করলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।’ এই বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা তো সবসময় থাকে। একটা পলাতক দল দেশ ছেড়ে চলে গেছে বা তাদের নেতৃত্ব চলে গেছে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এটাকে (দেশ) আনসেটেল করার জন্য। এটা তো সবসময় থ্রেট আছেই। প্রতিক্ষণেই আছে, প্রতি জায়গাতেই আছে। কাজেই এটা তো সবসময় থাকবে।
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সবাই মিলে যা ঠিক করবে আমরা তাই করব। আমার বরাবরই পজিশন হলো যে, আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। আমাদের এই দেশের ওপরে সমান অধিকার। আমরা সব ভাই ভাই। আমাদেরকে এই দেশেই বাঁচতে হবে। এ দেশকেই বড় করতে হবে। কাজেই যে মত-দল করবে, তার মতো করে, সবকিছু করবে। এই দেশ থেকে কারও অধিকার কেড়ে নেওয়ার কোনো উপায় নাই। কিন্তু যে অন্যায় করেছে, যার বিচার হওয়া উচিত, তার বিচার হতে হবে। এটুকুই শুধু।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম দিকে সমস্যা ছিল যে পুলিশ বাহিনী যাকে দিয়ে আমরা কাজ করাচ্ছিলাম, তারা ভয়ে রাস্তায় নামছিল না। দুদিন আগে তারা এদেরকে (জনগণকে) গুলি করেছে। কাজেই মানুষ দেখলেই সে ভয় পায়। কাজেই তাকে ঠিক করতেই আমাদের কয়েক মাস চলে গেছে। এখন মোটামুটি ঠিক হয়ে গেছে। এখন আবার নিয়মশৃঙ্খলার দিকে আমরা রওনা হয়েছি। কাজ করতে থাকব।
হুমকিটা আওয়ামী লীগের দিক থেকে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। এটা তো অবভিয়াস। তারা মাঝে মাঝেই ঘোষণা করছে। বক্তৃতা দিচ্ছে। অ্যাড্রেস করছে। আপনি-আমরা সবাই শুনছি। মানুষ উত্তেজিত হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন,‘অপরাধের পরিমাণ মোটেই বাড়েনি। আগের মতোই হয়েছে।’ তবে তিনি জানান করেন, পুলিশ এখনও পুরোপুরি আস্থার সঙ্গে কাজ করতে পারছে না।