
রাইজিংসিলেট- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরেছে। রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় রিজার্ভে কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) নির্ধারিত BPM6 পদ্ধতিতে এই হিসাব করলে তা ২৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
৬ আগস্ট রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, নিট রিজার্ভ হিসাব করতে গিয়ে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দেওয়া হয়। এর বাইরেও ‘ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ’ নামে একটি কার্যকর হিসাব রয়েছে, যেখানে SDR, ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেন ক্লিয়ারিং হিসাব এবং আকুর পাওনা বাদ দিয়ে প্রকৃত রিজার্ভ পরিমাপ করা হয়। বর্তমানে এ ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি, যা দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রবাসী আয় ও রপ্তানি বাড়ায় মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরেছে। দীর্ঘ ১০ মাস বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করায় রিজার্ভ বাড়াতে সহায়ক হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজস্ব, ব্যাংক খাত ও সামষ্টিক অর্থনীতিতে নেয়া সংস্কারমূলক পদক্ষেপের ফলে বাজেট সহায়তা ও বৈদেশিক ঋণ হিসেবে কয়েক বিলিয়ন ডলার দেশে এসেছে। একই সময়ে আমদানি নিয়ন্ত্রিত থাকায় ডলারের চাহিদা কমেছে এবং টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময়মূল্য সামান্য হ্রাস পেয়েছে।
তবে রিজার্ভ ও বিনিময় হার সামঞ্জস্যে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু ডলার কিনেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নিকট থেকে।
উল্লেখযোগ্য যে, ২০২১ সালের আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। কিন্তু এরপর অর্থনৈতিক চাপ ও নানা অনিয়মের কারণে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে, যার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আইএমএফ-এর কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের সহায়তা চাওয়া হয়।