
এবার ব্রিটেনের ঐতিহাসিক জাদুঘরে হানা দিল চোরেরা। লন্ডন থেকে নয়, এবার চুরি হয়েছে দক্ষিণপশ্চিমের শহর ব্রিস্টলের ব্রিটিশ এম্পায়ার অ্যান্ড কমনওয়েলথ জাদুঘর থেকে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ব্রিস্টল পুলিশের বরাত দিয়ে বিভিন্ন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চার সন্দেহভাজনের ছবিও প্রকাশ করেছে।
জানা যায়, এই জাদুঘর থেকে রাজপরিবার, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত ৬ শতাধিক অমূল্য শিল্পকর্ম চুরি হয়েছে। ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর এই চাঞ্চল্যকর খবরটি প্রকাশ্যে এসেছে। ব্রিস্টল পুলিশ এই চুরি হওয়া শিল্পকর্মগুলোর ব্যাপক সাংস্কৃতিক মূল্য রয়েছে বলে জানিয়েছে।
চুরির ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৫ সেপ্টেম্বর। কিন্তু এত বড় একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আনতে কেন আড়াই মাস সময় লাগল, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ— কেউই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ব্রিস্টল নগর কাউন্সিলের সংস্কৃতি এবং সৃষ্টিশীল শিল্প বিভাগের প্রধান ফিলিপ ওয়াকার জানিয়েছেন, চুরি হওয়া শিল্পকর্মের তালিকায় রয়েছে মেডেল, ব্যাজ ও পিন, নেকলেস, চুড়ি, আংটি, নকশা খোদাই করা হাতির দাঁত, রুপা ও ব্রোঞ্জের মূর্তি, গৃহসজ্জার সামগ্রী এবং বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক নমুনা।
এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফিলিপ ওয়াকার বলেন, চুরি যাওয়া শিল্পকর্মগুলো ব্রিটেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের। ২০০ বছরের ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখেছে এবং এর দ্বারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে— সেসবের সঙ্গে সম্পর্কিত অমূল্য সব রেকর্ড ছিল এই শিল্পকর্মগুলো।
ড্যান বার্গান এএফপিকে আরও বলেন, তারা এখন পর্যন্ত চারজন সন্দেহভাজন সম্পর্কে তথ্য পেয়েছেন এবং তাদের ছবিও প্রকাশ করেছেন। তিনি সন্দেহভাজনদের আটকের জন্য জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং ব্রিস্টল পুলিশের জ্যেষ্ঠ কনস্টেবল ড্যান বার্গান বলেন, এটা আমাদের শহরের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। চুরি হওয়া অনেক শিল্পকর্মই দান করা হয়েছিল, অর্থাৎ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সময় বিভিন্ন দেশের অভিজাতরা এগুলো দান করেছিলেন। এমন অনেক শিল্পকর্ম চুরি হয়েছে, যেগুলো আমাদের ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতীক।