ঢাকামঙ্গলবার , ৪ নভেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভোলায় অর্থাভাবে বন্ধ মসজিদের নির্মাণ কাজ

rising sylhet
rising sylhet
নভেম্বর ৪, ২০২৫ ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

তানজিল হোসেন, ভোলা-দুই বছর ধরে থেমে আছে কাজ, নামাজে ভোগান্তিতে মুসল্লিরা ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আল মদিনা জামে মসজিদে দুই বছর ধরে থেমে আছে নির্মাণ কাজ। অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই কাজের ফলে নামাজ আদায়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার দুই থেকে তিন শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।

মসজিদ—শুধু ইট-পাথরের স্থাপনা নয়, এটি মুসলমানদের ঈমানের প্রতীক, মিলনের স্থান ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ। সেই পবিত্র স্থানে সিজদাহ দিতে না পারায় কষ্টে দিন কাটছে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

২৭ বছর আগে নির্মিত পুরোনো আল মদিনা জামে মসজিদটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে দুই বছর আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সেটি ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। মুসল্লি ও স্থানীয়দের সহায়তায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, পিলার ও নিচের অংশ পর্যন্ত নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ১৩ লাখ টাকা। এরপর অর্থাভাব দেখা দিলে বন্ধ হয়ে যায় কাজটি।

মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে আরও ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু নিম্ন আয়ের এলাকার মানুষের পক্ষে এত অর্থ জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে পাশের একটি ছোট মাদ্রাসায় নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। জায়গা সংকীর্ণ হওয়ায় গাদাগাদি করে নামাজ পড়তে হয়। বিশেষ করে শুক্রবারে অনেকেই মাদ্রাসার বাইরে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে নামাজ আদায় করতে বাধ্য হন।

মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাইনুদ্দিন জানান, “অর্থের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। মুসল্লিরা এখন ভোগান্তির মধ্যে নামাজ আদায় করছেন। দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করছি।”

নিয়মিত মুসল্লি আনিসুল জানান দুই বছর আগে কাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত দেয়াল কিংবা ছাদ কিছুই করা সম্ভব হয়নি। যে অংশটুকু তৈরি হয়েছিল, সেটাও এখন নষ্টের পথে।”

এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়তি রাণী কৈরী বলেন, একটি মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকা দুঃখজনক। মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে যদি আবেদন করা হয়, তাহলে বরাদ্দের বিষয়টি বিবেচনা করে যতটুকু সম্ভব সহায়তা দেওয়া হবে।”

বলা হয়ে থাকে, মসজিদ আল্লাহর ঘর, আর আল্লাহর ঘর নির্মাণ মানে শুধু দান নয়—এটি এক চিরস্থায়ী সওয়াবের পথ। দুনিয়ার ঘর একদিন হারিয়ে যাবে, কিন্তু আল্লাহর ঘর নির্মাণে অংশ নিলে মিলবে আখেরাত পর্যন্ত সওয়াব ও অনন্ত কল্যাণ।

তাই সবার সহযোগিতায় জেগে উঠুক থেমে থাকা দেয়ালগুলো, ফিরে আসুক ঈমানের আলো ও মুসল্লিদের সিজদার স্থান।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।