
রাইজিংসিলেট- বিদ্যুৎ ও পানির সংকট ঘিরে তরুণদের তীব্র আন্দোলনের মুখে মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে রাজোয়েলিনা বর্তমান সরকার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, সাম্প্রতিক এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। যদিও মাদাগাস্কারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের এই পরিসংখ্যান প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, এসব তথ্য দেশের স্বীকৃত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়নি এবং এগুলোর ভিত্তি হতে পারে গুজব বা ভুল তথ্য।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা বলেন, “সরকারের কিছু সদস্য যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে থাকে, তা হলে আমরা তা মেনে নিচ্ছি এবং দুঃখ প্রকাশ করছি।”
তিনি আরও জানান, তরুণদের সঙ্গে কার্যকর সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাগুলোর পাশে দাঁড়াতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আন্দোলন চলাকালে রাজধানী আন্তানানারিভোতে তরুণ-তরুণীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। বিশ্লেষকদের মতে, এ বিক্ষোভ মূলত ‘জেনারেশন জেড’ বা ‘জেন-জি’ প্রজন্মের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে, যারা আফ্রিকার কেনিয়া ও এশিয়ার নেপালের চলমান যুব-আন্দোলন থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছে।
মাদাগাস্কারে এ আন্দোলন সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক অস্থিরতার রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশ, নেপাল, ফিলিপাইন এবং পূর্ব তিমুরের মতো দেশগুলোতে জেন-জির নেতৃত্বে বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার পর এবার ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রেও তার বড় প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা যাওয়া বিক্ষোভকারী ছাড়াও সাধারণ পথচারী ও সহিংসতায় জড়িত নয়—এমন নাগরিকরাও রয়েছেন।