মাধবপুর উপজেলার “এসো ওদের পাশে দাঁড়াই” সংগঠনের প্রতিষ্টাতা শাহাদাত হোসেন তালুকদার কোনো এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নিয়ে তাঁর ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাস লিখেছেন।তাঁর ফেইসবুক স্ট্যাটাস হুবুহু তুলে ধরা হল।আসসালামু আলাইকুম!
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন বিদ্যালয়ে দায়িত্বরত যারা আছেন সবার প্রতি আমার একটা প্রশ্ন ও জানার খুব আগ্রহ নিয়ে পোস্টটি করা।
ভুল হলে সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।হবিগঞ্জ জেলায় এমন কোনো বিদ্যালয় কি আছে যেখানে গরীব,অসহায় শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে অধ্যায়নের সুযোগ দেওয়া হয় না ?একজন শিক্ষার্থীর জন্য একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে বার বার যাওয়ার পরও উনি এরকম কোনো সুযোগ দিতে রাজি না।
স্কুল কমিটির সভাপতির কাছে যাওয়ার পর উনি বার বার আশ্বাস দিয়েছেন এবং বলেছেন উনি ব্যবস্থা নিবেন এবং প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলার পরও প্রধান শিক্ষক এই আবেদন গ্রহণ করতে নামঞ্জুর।
সেই শিক্ষার্থী ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণীতে উত্তির্ন হয়ে ভর্তি হয়েছে।কিন্তু ৯ম শ্রেণীর বকেয়া টাকা না দেওয়ায় এখন উনি বলছেন যে ৯ম শ্রেণীর বকেয়া টাকা পরিশোধ না করলে ভর্তি বাতিল করা হবে এবং পরীক্ষা দিতে দিবেন না।
এখন আমার কি করা উচিত? সবাই একটু পরামর্শ দিবেন।
আমি কি এই বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারও সাথে যোগাযোগ করবো.?নাকি কোনো সাংবাদিক বা মিডিয়ার সাথে কথা বলবো.?না শিক্ষার্থীর পড়ালেখা বন্ধ করে দিব.?
তাহলে এটাই করি শিক্ষার্থীর পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়ে দেই।
সরকার শিক্ষা খাতে এত সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পরও যেহেতু আমরা এসব সুবিধা পাচ্ছি না তাহলে আমাদের পড়ালেখা না করাই ভাল।এই সুযোগ সুবিধা নিতে গিয়ে আমার যে পরিমান হয়রানি হতে হয়েছে তা বলার বাহিরে। তারপরও আমি বার বার ব্যার্থ হয়েছি।
এই হৃদয় বিদারক স্ট্যাটাসের বিষয়ে “এসো ওদের পাশে দাঁড়াই” সংগঠনের প্রতিষ্টাতা শাহাদাত হোসেন তালুকদার কে জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেছেন এখন কিছু বলবেন না। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে অনেক দূর যাবেন এবং সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও জানান তিনি।