বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত জাতির মুক্তির সনদ, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মস‚চির লিফলেট ও ধানের শীষ প্রতীকের দাওয়াত আমরা ছাতক ও দোয়ারাবাজারবাসীর ঘরে-ঘরে পৌঁছে দিতে চাই। আমরা এ কার্যক্রম শুরু করেছি, কয়েক দিনের মধ্যেই ছাতক-দোয়ারাবাজারের সকল এলাকায় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে লিফলেট বিতরণ করবো। এ কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমরা বেশ সাড়া পাচ্ছি। সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ তৈরী হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাতক-দোয়ারাবাজারবাসী ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করবেন ইনশাআল্লাহ। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভোটদান থেকে বঞ্চিত এ অঞ্চলের মানুষ এখন ধানের শীষ প্রতিকে ভোট দিতে অধীর আগ্রহে রয়েছেন। যারা নির্বাচন পেছানো বা পিআর পদ্ধতির দাবি করেন, তারা গনতন্ত্রে বিশ্বাসী অতীতেও ছিলেন না বর্তমানেও নয়। পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখেন তারা। এদেশে আর পিছনের দরজা দিয়ে বা বিনা ভোটে ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। লুটপাট, গুম-খুন, ভোটারবিহীন নির্বাচন, জোর করে ক্ষমতা, দিনের ভোট রাতে দেওয়া এসব কারণেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার বিরুধী আন্দোলন ও সর্বশেষ ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি আরো বলেন বিএনপি তথা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছেন তারা সাবধান হয়ে যান, নতুবা এ দেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবেনা। দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে বেহেস্থ পাওয়া যাবে এ ধরণের ইসলাম বিদ্বেশী বক্তব্য দিয়ে যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চান তাদেরকেও তিনি এসব মিথ্যা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।
শনিবার (২৫ অক্টোবর ) বিকেলে ছাতক উপজেলার ধারণ বাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা কর্মস‚চির লিফলেট বিতরণ ও মিছিল শেষে এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলার উত্তর খুরমা ও দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়ন এবং ধারণ অঞ্চল বিএনপি আয়োজিত এ পথ সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম, ছাতক পৌর বিএনপির আহবায়ক সামসুর রহমান সামছু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফজলুল করিম বকুল, শাহ সফিকুল আলম মতি, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জসিম উদ্দিন সুমেন, যুগ্ম আহবায়ক সামসুর রহমান বাবুল, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ছায়াদুজ্জামান কয়েছ আহমদ, আতাউর রহমান এমরান, ফয়জুর রহমান, দিদার আলম মেম্বার, অ্যাড. আব্দুল কাহার।
উপস্থিত ছিলেন উত্তর খুরমা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আজিজুর রহমান আজিজ,দক্ষিণখুরমা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক শামীম আলম নোমান,গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আব্দুল হক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য আমিন উদ্দিন,আব্দুল হাই লিপু,উত্তর খুরমা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আলিম,নুরুল ইসলাম,সুন্দর আলী,অদুদ মির্জা,চেরাগ আলী
দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আলী হোসেন মানিক, রাকিব আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপি নেতা রুহুল আমিন, জাহেদুল ইসলাম আবাব, আব্দুস সালাম নোমান, নুরুল হক, ফখর উদ্দিন, ক্বারী আছকির আলী, আবুল হোসেন সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, তানিমুল ইসলাম, ইলিয়াস আহমদ, দিলোয়ার হোসেন, পৌর যুবদলের আহবায়ক খায়ের উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক লিজন তালুকদার, কৃষকদলের পীর ছায়াদুর রহমান মনির উদ্দিন মেম্বার, সাজ্জাদুর রহমান, ইব্রাহিম আলী রাসেল, খছরু মিয়া, ছালেক মিয়া তালুকদার, ইব্রাহিম আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বাকি বিল্লাহ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবুল হোসেন, জাসাসের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া, শ্রমিক দল নেরা, যুবদল নেতা এড ফয়জুল আহমদ পাবেল, ফখরুল আলম, আব্দুল মোনেম মামনুন, মুহিবুর রহমান মুহিব, মিনহাজ আহমেদ, রুবেল মির্জা, ছাত্র দলের মাহবুব আহমদ, এমদাদুর রহমান ইমন, আব্দুল বাকি মুহিত, স্বাচ্ছা আবেদীন, মিয়া মোহাম্মদ সাদ, সরিফ উদ্দিন মাহিব সাহেদ ইয়াসিন, ফয়সল আহমদ, বখতিয়ার মির্জা, রুবেল রানা, ইশতিয়াক আম্বিয়া রায়হান প্রমুখ।