
তালামীযের মুবারক র্যালিতে হামলার ঘটনায় ১৬ জন আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে মোগলাবাজার থানার জাহানপুর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) বলেন, আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেন নি।
তালামীয ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোগলাবাজার ইউনিয়ন তালামীযের উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষে মুবারক র্যালি কর্মসূচি ছিল শনিবার দুপুরে। যথাসময়ে র্যালি শুরু হয় এবং র্যালিটি জাহানপুর অতিক্রমের সময় দুপুর আড়াইটার দিকে একটি টমটম র্যালির লাইন অতিক্রম করতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবকরা তাকে বাধা দিয়ে সময় চান।
ওই টমটমের একজন যাত্রী র্যালির উদ্দেশ্যে ‘ইতা তামশা বাকরছনি’ বলে ব্যাঙ বিদ্রুপ করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে ধাক্কাধাক্কিতে গড়ায়। এরপর ওই যাত্রী জাহানপুরের ২/৩ শতাধিক লোক জড়ো করেন। তাদের হাতে লাঠি ছিল এবং তারা রেল লাইনের পাথর জড়ো করেন। এসময় মোগলাবাজারের সচেতন মহল ও পুলিশ প্রশাসন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পুনরায় মুবারক র্যালি নিয়ে নাতে রাসূল (সা.) গেয়ে ফেরার পথে তারা লাঠি-সোটা নিয়ে র্যালির উপর হামলা করে। মুরব্বিরা তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠালে জাহানপুর থেকে বাজারের দিকে যাওয়ার পথে তারা পাথর ছুঁড়ত থাকে। তাদের পাথরের আঘাতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আল-ইসলাহর সহ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাতে এলাকার মুরব্বিয়ান ও মোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছেন। দেখা যাক। সন্তোষজনক নিষ্পত্তি সম্ভব না হলে আমরা মুরব্বিদের সঙ্গে কথা বলে মামলা বা অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি ভেবে দেখবো।