ঢাকাসোমবার , ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মেগাস্টার থালাপতি বিজয় এখন নতুন করে সমালোচনার কেন্দ্রে

rising sylhet
rising sylhet
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫ ৬:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

মেগাস্টার থালাপতি বিজয় এখন নতুন করে সমালোচনার কেন্দ্রে। সম্প্রতি তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় তার বিশাল রাজনৈতিক সমাবেশে পদদলিত হয়ে ৪০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশটি বিজয়ের রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রদর্শনী হওয়ার কথা থাকলেও, এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা মুহূর্তেই উৎসবের আবহকে বিষাদে ঢেকে দিয়েছে।

বিরোধীরা এই মর্মান্তিক ঘটনাকে পুঁজি করে সরাসরি বিজয়ের নতুন দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাঘাম (টিভিকে)-কে নিশানা করছে। একদিকে বিপুল জনসমাগম সামলাতে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ, অন্যদিকে অব্যবস্থাপনার দায় টিভিকের ওপর চাপানো- সবমিলিয়ে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শুরুতেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ভক্তদের এই ‘তরুণ কমান্ডার’। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

যেভাবে থালাপতি হয়ে উঠলেন বিজয়: ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে জনপ্রিয় তারকাদের মধ্যে তার অবস্থান বেশ উপরে। কয়েক দশকের অভিনয় দিয়েই এই অবস্থান তৈরি করেছেন ৫১ বছর বয়সী বিজয়। বর্তমানে ভারতে ধনী অভিনেতাদের মধ্যেও তার নাম বেশ উপরে রয়েছে। এছাড়া বক্স অফিসে হিট হওয়া চলচ্চিত্রগুলোও সমালোচকদের বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। পরিচালক পিতা এবং সংগীত শিল্পি মায়ের পরিবারে জন্ম হয় জোশেপ বিজয় চন্দ্রশেখর নামের এই অভিনেতার। শিশু বয়স থেকেই অভিনয় দিয়ে শুরু করেন ক্যারিয়ার। পিতার পরিচালনায় ১৯৯২ সালে নালাইয়া থিরপু নামের একটি চলচ্চিত্রে প্রথম প্রধান চরিত্র হিসেবে বড় পর্দায় আসেন তিনি। একজন দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একদল কলেজ ছাত্রের লড়াইকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয় পুরো সিনেমা। অবশ্য এটি নাম করতে পারেনি।

তবে স্থানীয় পত্রিকাগুলো বলেছে, ওই সিনেমার মাধ্যমেই তামিলনাড়ুর সামাজিক সমস্যা সমাধানে বিজয়ের চরিত্রটি একটি বাস্তবিক ব্যক্তিত্ব আকারে তৈরি হতে সহায়তা করেছে। এরপর ধারাবাহিকভাবে রোমান্টিক এবং কমেডি চরিত্রে অভিনয় করে গেছেন তিনি। যেগুলোর বেশ কয়েকটি বক্স অফিসে বেশ হিট করেছে। ধীরে ধীরে একপর্যায়ে দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে আসেন তিনি। এর পিছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে অতি সহজভাবে তার নাচের ভঙ্গি। এর মাধ্যমে ভক্তদের মাঝে ভিন্ন জায়গা করে নেন। ভক্তদের কাছে উপাধি পান থালাপতি হিসেবে। যার বাংলা অর্থ তরুণ কমান্ডার। বেশ কয়েক বছর তিনি একাধিক অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা করেছেন। এর মধ্যে ঘিলি (২০০৪), পক্কিরি (২০০৭) এবং কাঠঠি (২০১২) উল্লেখযোগ্য। এসম সিনেমায় অভিনেতা হিসেবে নিজের নিপুন দক্ষতা উপস্থাপনে বেশ সফলতা পেয়েছেন বিজয়। তার যেকোনো ছবি প্রেক্ষাগৃহে আসা মাত্রই উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেন ভক্তরা। শেষ কয়েক বছর ধরে তার কয়েকটি ছবি খারাপভাবে সামালোচিত হলেও ভক্তদের ধারাবাহিক সমর্থন বক্স অফিসে সেগুলোকে বেশ হিট করিয়েছে। এমন দুটি সিনেমা হচ্ছে- ২০২২ ও ২০২৪ সালে মুক্তি পাওয়া বিসট এবং দ্য গ্রেটেস্ট অব অল টাইম।

কেন রাজনীতিতে এলেন তিনি: বিজয়ের রাজনীতিতে আগমন নিয়ে বহু বছর ধরেই জল্পনা-কল্পনা ছিল। নিজের ফ্যান ক্লাবকে কাজে লাগিয়ে ২০২১ সালের স্থানীয় নির্বাচনে বেশ ভালো ফলও পান তিনি। এছাড়া বিগত বছরগুলোতে তার বেশ কিছু মন্তব্যকে রাজনৈতিক বলে ব্যাখ্যা করা হতো। তবে অভিনয় ছেড়ে পুরোদমে রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত ভক্তদের কাছে কিছুটা চমক ছিল। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘জানা নায়াগান’ হবে তার শেষ চলচ্চিত্র। ইতিমধ্যেই ভক্তদের এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিজয়।

দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে চলচ্চিত্র তারকাদের রাজনীতিতে আসা নতুন নয়। তাদের বিপুল জনপ্রিয়তা এবং গণ-আবেদনকে ভোটের ফলাফলে কাজে লাগানোর প্রবণতা বহু পুরোনো। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ তামিলনাড়ুর এমজিআর বা এমজি রামচন্দ্র। তারকা হিসেবে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকাকালে ১৯৬২ সালে তিনি রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাঝাগাম (ডিএমকে) তে যোগ দেন। ১৯৭২ সালে ডিএমকে’র সঙ্গে মতবিরোধের জেরে তিনি অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাঝাগাম (এআইএডিএমকে) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮৭ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এমজিআর এর অন্যতম সফল সহ-অভিনেত্রী জয়ললিতাও তার পথ অনুসরণ করেন। তিনি এআইএডিএমকে-তে যোগ দেন এবং এমজিআর-এর মৃত্যুর পর দলের নেতৃত্বে আসেন। ছয় মেয়াদে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

বিজয়ের বর্তমান পরিস্থিতি: বিজয় গত বছর তার দল চালু করার পর থেকেই জনসভাগুলোতে বিশাল ভিড় দেখা যাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ তাকে এক ঝলক দেখতে এবং তার সঙ্গে ছবি তুলতে ভিড় করেন। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, সেলিব্রিটি-নেতৃত্বাধীন দলগুলোতে প্রায়শই মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতার অভাব থাকে, যা তাদের সাফলতাকে সীমিত করে। তার প্রতিদ্বন্দ্বীরাও বিজয়ের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং তার কিছু বক্তব্যকে অস্পষ্ট বলে সমালোচনা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে, বিজয়ের এই পূর্ণকালীন রাজনৈতিক পদক্ষেপ তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

তবে সিনেমা ছেড়ে রাজনীতিতে আসা সকল অভিনয় তারকা সফলতা পাননি। কিংবদন্তী তামিল অভিনেতা কমল হাসান ২০১৮ সালে মাক্কাল নিধি মাইয়াম নামে একটি দল চালু করেন। তিনি ডিএমকে এবং এআইএডিএমকে-এর আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার দল এখনও কোনো সংসদ বা বিধানসভা আসন জিততে পারেনি। তামিল সিনেমার আরেক আইকন রজনীকান্ত অনেক দিন ধরে রাজনীতিতে আসার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত ২০২০ সালে তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ান।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।