ঢাকারবিবার , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আরো
  5. খেলার খবর
  6. গণমাধ্যম
  7. চাকরির খবর
  8. জাতীয়
  9. দেশের খবর
  10. ধর্ম পাতা
  11. পরিবেশ
  12. প্রবাস
  13. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  14. বিজ্ঞান প্রযুক্তি
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যথাযথ সংরক্ষণ ও পর্যটন সুবিধার অভাবে পদ্মকাননের সৌন্দর্য পূর্ণতা পাচ্ছে না

rising sylhet
rising sylhet
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫ ৫:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ads

দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের লছিমপুর গ্রামঘেঁষে শতবর্ষের পদ্মকাননের সৌন্দর্য্য এখনো অম্লান। প্রতিবার বর্ষা এলে এই বিল ভরে ওঠে পদ্মফুলে। এ যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার। কিন্তু পদ্ম বিলে অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরা, যথাযথ সংরক্ষণ ও পর্যটন সুবিধার অভাবে এ সৌন্দর্য পূর্ণতা পাচ্ছে না। হারাচ্ছে পর্যটকদের আকর্ষণ।

জানা যায়, জেলা প্রশাসন ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এ বিলকে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে। কিন্তু ঘোষণার পর মেইন রোডে যাত্রীছাউনি ও কয়েকটি বসার আসন নির্মাণ ছাড়া কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে দিরাই–শ্যামারচর মেইন রোড থেকে পদ্মবিল দূরে থাকায় এবং পর্যটন ব্যবস্থাপনার অভাবে ভ্রমণপিপাসুরা নিরাশ হয়ে ফিরছিলেন।

তবে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সনজীব সরকার উদ্যোগ নিয়ে পদ্মবিলের পাড়ে রাস্তা নির্মাণ করায় নতুন করে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ শুরু হয়েছে। অনেকেই এখন পরিবার–পরিজন নিয়ে বিলের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে আসছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতি বছর আগস্ট থেকে অক্টোবর এই তিন মাস এই ফুল ফুটে । এই সময়ে পরিকল্পিতভাবে নৌকাভ্রমণের ব্যবস্থা করা হলে এবং দৃষ্টিনন্দন কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা গেলে পর্যটক সমাগম আরও বাড়বে। শুধু পদ্ম নয়, শীতকালে অতিথি পাখির আগমনও এ বিলের সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করে।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, শতবর্ষ আগ থেকে বড়কুড় জলাশয় থেকে প্রাকৃতিক বিস্তারের ধারায় লছিমপুর সংলগ্ন এ জলাভূমিতে পদ্মের বিকাশ ঘটে। বর্তমানে সরকারি খাস খতিয়ানে প্রায় ৭.৩৩ একর জমি পদ্মবিলের অন্তর্ভুক্ত, বাকি অংশ ব্যক্তিমালিকানাধীন।

পদ্মবিল দেখতে আসা নৃত্য শিল্পী দিপুমনি দাস বলেন, এখন বিকেল তাই পদ্ম ফুলগুলো ঝিমিয়ে যাচ্ছে। পদ্মফুল ভোরে ফুটে আর দুপুর থেকে ঝিমিয়ে পড়তে শুরু করে। তবে বিকেলেও ফুলগুলোকে খুবই চমৎকার লাগছে। নিশ্চয় ভোরে ও সকালে এই সৌন্দর্য্য আরও কয়েকগুণ বেশি হবে।

তিনি আরও বলেন, এখানে এসে নৌকা পেতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।কোন কর্তৃপক্ষকে নজরে আসেনি। সম্ভবত এটা দেখার দায়িত্বে কেউ নেই।

তিনি বলেন, পদ্মবিল শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য নয়, এ এক অনন্য সম্ভার -যেখানে জল, ফুল আর পাখির মিলনে সৃষ্টি হয়েছে এক স্বপ্নীল আবহ। তাই আমি চাই, এই পদ্মবিল যেন সবাই দেখতে পায়। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, এটি আরও পরিচ্ছন্ন ও সুসংরক্ষিত হোক, যেন পর্যটকরা নিরাপদে এসে এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। প্রকৃতির এই অমূল্য উপহার যেন নষ্ট না হয়।

দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সনজীব সরকার বলেন, ইতোমধ্যে পদ্মবিল পাড়ে রাস্তার জন্য মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মবিল এলাকায় পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে রাস্তা পাকাকরণ, বসার আসন নির্মাণসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব কাজে ১৯ লক্ষ টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিলে মাছ ধরা বন্ধে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) এড.তোরাণ মিয়া,উদীচী উপজেলা শাখার সভাপতি মনোজ পুরকায়স্থ,সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আব্দুর জাহির বলেন, এই বিলকে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ,সুন্দর্য বর্ধনে পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা এবং আধুনিক অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে এটি কেবল দিরাই নয়, পুরো সুনামগঞ্জের পর্যটনে এক অনন্য সংযোজন হবে। পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।