
কোম্পানীগঞ্জের নভাগিকান্দির কাদির মিয়ার মেয়ে দিলারা বেগমের সাথে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় ইসলামপুর ইউনিয়নের পুর্ব দারগাখালি গ্রামের আল আমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সাংসারিক জীবনে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না।
যৌতুকের জন্য বারবার বোনকে নির্যাতন করতো তার স্বামী। বোনের নির্যাতনের বদলা নিতে তার স্বামী আল আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ভাইয়েরা। এই ঘটনায় থানাপুলিশ এক জনকে আটক করেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম আল আমিন। আল আমিন ও দিলারা দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পুর্ব দারগাখালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের পুর্ব দারগাখালি গ্রামে বোনকে নির্যাতনের ঘটনায় ভাইয়েরা তাদের বোনজামাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় থানাপুলিশ এক জনকে আটক করেছে। অন্যদের গ্রেফতারে ও আইনগত ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
জানা যায়, ১০ বছর আগে কোম্পানীগঞ্জের নভাগিকান্দির কাদির মিয়ার মেয়ে দিলারা বেগমের সঙ্গে আল আমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সাংসারিক জীবনে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। আল আমিন যৌতুকের জন্য বারবার তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। এই বিষয় নিয়ে স্থানীয়রা মিলে বেশ কয়েকবার সমাধান করে দেন। কিন্তু তারপরও আল আমিন ফের যৌতুকের জন্য মারধর করেন। ঘটনার দিন বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে আল আমিন তার স্ত্রী দিলারাকে খুব মারধর করেন। মারধরের পর দিলারা তার বাপের বাড়িতে নির্যাতনের বিষয়ে তার ভাইদের অবগত করেন। খবর পেয়ে দিলারার মা ময়মুন নেছা, ভাই আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান বিকালে দিলারা স্বামীর বাড়িতে উপস্থিত হন। দিলারার ভাইয়েরা আল আমিনকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আল আমিন তাদের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে মারামারির সৃষ্টি হয়। মারামারির একপর্যায়ে আল আমিনের দায়ের কোপে তার শাশুড়ি ময়মুন নেছার একটি হাতের কনুই থেকে কব্জি পর্যন্ত কেটে যায়। এসময় আহত হন দিলারার দুই ভাই আব্দুর রহমান ও আব্দুল্লাহ। পরে তাদের পাল্টা মারধর এবং দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন আল আমিন। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে আহত আল আমিনকে উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল আমিন মারা যান।