
সিলেটের জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর দীপঙ্কর দাস দ্বীপের মালয়েশিয়ায় উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমালেও আর ফেরা হলো না । সকল জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে আজ রাতে তাঁর মরদেহ দেশে ফিরছে। স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটছে আজই।
দ্বীপের মরদেহ গ্রহণ করতে তাঁর স্বজনরা ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন। শাহজালাল বিমানবন্দরের ভেতর থেকেই তাঁরা সিলেটভিউকে জানান, ঢাকায় অবতরণের পর মরদেহ সড়কপথে নিয়ে আসা হবে। প্রথমে সিলেটে নাকি সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার পুটিজুড়ি গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে। এটি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বুধবার দিনের মধ্যেই গ্রামের বাড়িতে দ্বীপের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রাত সাড়ে ৬টায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে দ্বীপের মরদেহ দেশে রওনা দেবে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দ্বীপের মরদেহ আনার কথা থাকলেও ফ্লাইটজনিত জটিলতার কারণে শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়।
মাত্র ২১ বছর বয়সী দ্বীপ গত ১২ নভেম্বর ভোরে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান। তার আগের দিন (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাঁকে কুয়ালালামপুরের একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
হাস্যরসাত্মক পারিবারিক কনটেন্ট তৈরির মধ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন দ্বীপ। তাঁর ভিডিওগুলোর প্রধান অংশীদার ছিলেন মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। স্বল্প সময়ে ব্যাপক সাড়া পাওয়া এই তরুণের আকস্মিক মৃত্যুতে সিলেটসহ সর্বত্র নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পরিবারের বর্তমান বাস সিলেটের গোপালটিলায় হলেও তাদের মূল বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবলের পুটিজুড়িতে। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিলেন দ্বীপ। তাঁর বাবা দিব্যোজ্যোতি দাস। স্বপ্নপূরণের দেশেই থেমে গেল তরুণ দ্বীপের চলার পথ—আর ফিরে এল শুধু তাঁর লাশকে ঘিরে স্বজনদের অশেষ অপেক্ষা।