
শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান : শান্তিগঞ্জ উপজেলার দামোধরতপী ও মাহমদপুর দাখিল মাদ্রাসার নবগঠিত ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে স্থানীয় দুই গ্রামে অসন্তোষ প্রকাশ ও ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর মাদ্রাসাটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করা হলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে স্থানীয় মুরুব্বি, শিক্ষানুরাগী, যুব সমাজ কিংবা অভিভাবকদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়নি। স্থানীয়দের অজ্ঞাতসারেই উপজেলার বাইরে থেকে একজন ব্যক্তিকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়।
অভিযোগকারীরা জানান, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দামোধরতপী ও মাহমদপুর গ্রামের জনগণের আর্থিক সহযোগিতা, স্বেচ্ছাশ্রম ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে। অথচ স্থানীয়দের উপেক্ষা করে বহিরাগত ব্যক্তিকে সভাপতি করায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মাদ্রাসাটি আমাদের গ্রামের মানুষের রক্ত-ঘাম দিয়ে গড়া। অথচ আমাদের না জানিয়ে বাইরে থেকে সভাপতি বসানো হয়েছে -এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ অবস্থায় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে ইউএনও’র নিকট আবেদন জানানো হয়েছে – বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি স্থগিত করে পুনর্গঠনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকেই একজন যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি মনোনীত করার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
অভিযোগের সঙ্গে শতাধিক মানুষের গণস্বাক্ষর, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবাদমূলক পোস্টের প্রিন্ট কপি সংযুক্ত করে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
অভিভাবক মিয়া সাইফুল বলেন, আমার ছেলে-মেয়ে মাদ্রাসা পড়াশোনা করে এবং আমি রীতিমতো মাদ্রাসায় যাওয়া আসা করি কিন্তু এই ম্যানেজিং কমিটি গঠন হবে এ নিয়ে কোনো চিঠি কিংবা সংবাদ পাইনি একজন অভিবাক হিসাবে। শুধু আমি নয় আরো অর্ধশতাধিক অবিভাবকরা কোন চিঠি পায় নি। অত্র এলাকার গুণীজনকে অবজ্ঞা করে জয়কলস ইউনিয়ন থেকে কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ সাহেব কোন ক্যাটাগরিতে হলেন সভাপতি নির্বাচিত। উনার আত্নীয় স্বজন মাদ্রাসায় লেখাপড়া কিংবা উনি ভুমিদাতা ও নয়। তাহলে কিভাবে সভাপতি হলেন এই নিয়ে এলাকায় জুড়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে মাদ্রাসার সুপার মাও. শহিদুল ইসলাম জানান গত বৃহস্পতিবার (৪ই ডিসেম্বর) সর্বপ্রকার নিয়ম মেনে নির্বাচন কমিশনার কর্তৃক জারিকৃত বিধিমালা অনুসরণ করেই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।