শাহ আরেফিন টিলা থেকে পাথর উত্তোলনকারীদের ধরতে অভিযান চালিয়েছে টাস্কফোর্স।
মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত শাহ আরেফিন টিলায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে আমান নামে ১জনকে পাথর বুঝাই গাড়িসহ আটক করা হয়।
সে উপজেলার চিকাডহর গ্রামের জৈন উদ্দিনের ছেলে। তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬ মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রবিন মিয়ার নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ, ওসি (তদন্ত) সুজন চন্দ্র কর্মকার, পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিয়াদ আলী, উপজেলা প্রশাসনের সিএ মিজানুল কবির সহ পুলিশ ফোর্স।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া জানান অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহত থাকবে। পাথর উত্তোলন বন্ধ না করলে যারাই এর সাথে জড়িত থাকবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায় গত ২ সপ্তাহ থেকে শাহ আরেফিন টিলা ও শাহ আরেফিন (রঃ) এর মাজার খুঁড়ে জালিয়ারপাড় গ্রামের বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে আবারও পাথর উত্তোলন শুরু হয়েছে। সাদাপাথর লুটপাটের বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ায় শাহ আরেফিন টিলা থেকেও বন্ধ ছিল পাথর উত্তোলন। প্রায় দুই মাস পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকার পর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে আবারও সক্রিয় হয়েছেন পাথর উত্তোলনকারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রতিদিন শাহ আরেফিন টিলা থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকার পাথর লুটপাট করেছে বাবুল মিয়ার নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট। তারা এই পাথর শাহ আরেফিন টিলা থেকে ট্রাক্টর দিয়ে ভোলাগঞ্জ ও পাড়ুয়ার বিভিন্ন ক্রাশার মিলে বিক্রি করেন। সেগুলো শ্যালমেশিন চালিত ক্রাশার মিলে ক্রাশিং করে বিক্রি করা হয়।
এদিকে শাহ আরেফিন টিলার ও শাহ আরেফিন (রঃ) এর মাজার ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে গত ২৪ অক্টোবর রাতে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বশর মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ বছরের জেল দেওয়া হয়।