সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সম্মানিত সদস্য বদরুজ্জামান সেলিম বলেছেন,মহান মে দিবস পৃথিবীর সব শ্রমজীবী মানুষের এক অমর প্রেরণার উৎস। এখনো তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে পেশির দাপটে রক্ত পানি করে যে জীবন যোদ্ধা শ্রমিক, যাদের শ্রমে ঘামে গড়ে ওঠে সভ্যতা, আমাদের যাপিত জীবনের আশ্রয়; সেই শ্রমিকের গড়া সেই অট্টালিকায় থেকেও তাদের কথা ভাবার সময় মেলে না কারো। দুঃখজনক হলেও সত্য, যে পরিশ্রমের জন্য শ্রমিকরা যা কিছু দেন, সেই অনুযায়ী তাদের যথাযথ মূল্যায়ন আজও অনেক ক্ষেত্রে সঠিকভাবে করা হয়নি।
তিনি আরোও বলেন,আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষ এ দিবসে এখনো তাদের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন করে আসছে। আমাদের দেশের শ্রমিক-কর্মচারীরা এখনো তাদের শ্রমের ন্যায্য মজুরি ও ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত। নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সমকাজে সমমজুরি থেকে তারা অনেকটা বঞ্চিত। বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের একটা সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বিগত শতাব্দীর শেষভাগেও আমাদের দেশে শ্রমিক শ্রেণি বিরাট আন্দোলন ও জাগরণ সৃষ্টি করেছিল।
তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (৩০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন,সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ছিলেন একজন যথার্থ শ্রমিক। তিনি নিজেকে সবসময় একজন শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতেন। শ্রমিকদের দুটো হাতকে তিনি উন্নয়নের চাবিকাঠি বলতেন। এদেশের শ্রমিকের কল্যাণে তিনি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
এদেশে শ্রম আইন সংস্কার ও আধুনিকীকরণ, বেতন ও মুজুরী কমিশন গঠন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী নির্ধারণ, বাস্তবায়ন ও তাদের বোনাস প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের সন্তানদের চিকিৎসা ও তাদের লেখা পড়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রমিক সমাজের ভাগ্যোন্নয়নে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন।
আজকের এই বিশেষ দিনে, আসুন আমরা সবাই মিলে শ্রমিকদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার হই এবং বুঝি, প্রত্যেকটি পেশারই রয়েছে সমান সম্মান।
উল্লেখ্য, ১৮৮৬সাল। হাজার হাজার শ্রমিক আট ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে শিকাগোতে ধর্মঘট শুরু করে। ধর্মঘটের সময়, শিকাগোর হে মার্কেটে বোমা বিস্ফোরণে কয়েকজন শ্রমিক নিহত হয়। এই ঘটনাটি শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। ১৮৮৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে শ্রমিকদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে ১লা মে-কে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৮৯০ সালের ১লা মে প্রথম আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস হিসেবে বিভিন্ন দেশে উদযাপন করা হয়।